নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: রবিবার রাতে অশোকনগরে গোলবাজারে সভা করে বিজেপি। সভা শেষ হওয়ার পরই সেই জায়গা গঙ্গাজল ও দুধ দিয়ে ‘শুদ্ধিকরণ’ করল তৃণমূল। আর এনিয়ে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিস গিয়ে দু’পক্ষকেই সরিয়ে দেয়। অশোকনগরের কিডনি পাচার চক্র ও হোটেলে মধুচক্রের পর্দা ফাঁস ইস্যুকে সামনে রেখে রবিবার সন্ধ্যায় অশোকনগরের গোলবাজারে সভা করে বিজেপি। হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। বিজেপির সেই সভাস্থল, দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে ধুইয়ে দেন তৃণমূলের কর্মীরা। পরবর্তীতে বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত রাস্তাতেও দুধ গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেন তাঁরা। গোলবাজারে যখন দুধ গঙ্গাজল দিয়ে ধুইয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা তখন সেখানে হাজির ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁরাও ‘চোর চোর’ স্লোগান তুলে তৃণমূলকে নিশানা করতে থাকেন। পাল্টা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন তৃণমূলের কর্মীরা। শাসক দলের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের এসসি-ওবিসি সেলের কনভেনর গুপি মজুমদার, ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার তথা যুবনেত্রী জয়া দত্ত, কাউন্সিলার সঞ্জয় রাহা প্রমুখ। দু’পক্ষের স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রসঙ্গে গুপী মজুমদার বলেন, বিজেপি এলাকায় এসে উস্কানি দিয়েছে। অশোকনগরের মাটিকে নোংরা করে গিয়েছে। ওদের রাজ্যের নেতারা অশোকনগরের সংস্কৃতি কিছুই জানেন না। ওরা অশোকনগরের মাটিকে অপবিত্র করেছেন। গুরুজনরা বলতেন অপবিত্র জায়গায় গোবরজল ছিটিয়ে দিলে পবিত্র হয়ে যায়। তাই ওই জায়গা পবিত্র করতে দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে ধুইয়ে দিয়েছি আমরা। জয়ার কথায়, শান্ত অশোকনগরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি। তাই, এই কর্মসূচি আমাদের। আমাদের কর্মসূচি চলাকালীন বিজেপি অবাঞ্ছিত স্লোগান তুলে পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা করেছিল। তবে, আমরা সংযম দেখিয়েছি। এদিকে অশোকনগরের বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার বলেন, কিডনি পাচারে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কর্মী শিশির কর্মকারের। আর মধুচক্রেও তৃণমূলের যোগ আছে। আমাদের এদিন জনসভায় মানুষের উৎসাহ