গোঘাটে তৃণমূল কর্মী খুনে ১৯ জন দোষী সাব্যস্ত, আজ সাজা
বর্তমান | ২৪ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: ২০১১ সালে গোঘাটে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের দায়ে ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আরামবাগ মহকুমা আদালত। সোমবার দোষীদের হেফাজতে নিয়েছে আদালত। আজ, মঙ্গলবার মামলার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক। ওই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আদালতের রায়ের জেরে এলাকায় যাতে নতুন করে অশান্তি না ছড়ায়, সেজন্য শ্যাওড়া পঞ্চায়েত এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে গোঘাটের আমডোবা গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী শেখ নইম উদ্দিনকে গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার প্রায় ১৪ বছর পর সাজা ঘোষণা হতে চলেছে। এদিন আরামবাগের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জজ কোর্টের বিচারক কিসেন কুমার আগরওয়াল অভিযুক্ত ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শ্যাওড়া ইউনিয়ন স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনকে কেন্দ্র ৯ ডিসেম্বর ২০১১ সালে তৃণমূল কর্মী নঈম উদ্দিনকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় গোঘাট থানায় একাধিক জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু মামলা চলাকালীন অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন মারা যায়। ২৬জনের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চলছিল। তারমধ্যে সাতজনকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। বাকিদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার আর্জি জানানো হবে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক, গোঘাটের সিপিএম নেতা দেবু চট্টোপাধ্যায় ও ভাস্কর রায় সহ সাতজনকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। বিশ্বনাথবাবু সেইসময় ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক ছিলেন। বর্তমানে তিনি গোঘাট থেকেই বিজেপির বিধায়ক। এদিন তিনি বলেন, আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে ফাঁসানো হয়েছিল। আদালত আমাদের মুক্তি দিয়েছে। সত্যের জয় হয়েছে। ভাস্করবাবু বলেন, তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠী সেদিন মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। আমাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়ে হয়রানি করা হয়। এদিন বিচারক আমাদের সাতজনকে মুক্তি দিয়েছে। তৃণমূলের গোঘাট-১ ব্লক সভাপতি সঞ্জিত পাখিরা বলেন, ঘটনাটি বিচারাধীন। আইনের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। ওই ঘটনায় আদালত কোনও রং না দেখে বিচার করেছে। যারা দোষী তারা সাজা পাবে।