• সার্টিফায়েড ধান বীজ বিক্রির উপর জোর
    বর্তমান | ২৪ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: সার্টিফায়েড নয়, এমন ধান বীজ যাতে কেউ বিক্রি করতে না পারে তারজন্য কড়া নজরদারির নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা কৃষিদপ্তর। সোমবার ব্লক কৃষি আধিকারিকদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন  বাঁকুড়ার উপ কৃষি অধিকর্তা। সেখানেই কৃষি দপ্তরের ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। উৎপাদনের সঙ্গে যুক্তদের একাংশের অভিযোগ, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন দোকানে বেআইনিভাবে প্যাকেজিং করা বীজ বিক্রি হচ্ছে, তা কিনলে চাষিরা ঠকবেন। ওই বীজ থেকে আশানুরূপ ফলন হবে না। সেই কারণে ওই ধরনের বীজ বিক্রি বন্ধ করা জরুরি।

    জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা দেবকুমার সরকার বলেন, বাঁকুড়ায় সাধারণত সার্টিফায়েড বীজ বিক্রি হয়। তা কিনে চাষিরা বপন করেন। জেলার চাষিরাও বিষয়টি নিয়ে সচেতন রয়েছেন। তারমধ্যেও যাতে কেউ জালিয়াতি না করতে পারে, সেইজন্য এদিনের বৈঠকে আমরা সহ কৃষি অধিকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। বীজের পাশাপাশি সার বিক্রি ও মজুতের উপরেও নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।

    এক বীজ ব্যবসায়ী বলেন, কৃষি ফার্মের পাশাপাশি বর্তমানে চাষিদের দিয়ে মাঠে সার্টিফায়েড বীজ ফলানো হয়। সঠিক গুণমানের সার্টিফায়েড বীজ উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ের খরচ বেশি। তার জন্য সরকারের রেজিস্ট্রেশন থাকতে হয়। নানারকম ফি, করও মেটাতে হয়। তার ফলে লাভ কম হয়। অনেকে চাষিদের কাছ থেকে ২৫-৩০ টাকা কিলোগ্রাম দরে ধান প্যাকেজিং করে বীজ হিসেবে বিক্রি করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেটে কোনও ছাপ বা লোগো থাকছে না। তবে চাষিদের বোকা বানাতে মাঝেমধ্যে প্রতারকরা জাল লোগো, ভুয়ো ফোন নম্বর ও কলকাতার কোনও জায়গার ঠিকানা স্ট্যাম্প আকারে সাঁটিয়ে বিক্রি করছে। ফলে তারা এক বস্তা ধান বিক্রি করে চার-পাঁচগুণ লাভ করছে। জাল বীজে বাঁকুড়ার বাজার ছেয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে কৃষিদপ্তরকে বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালাতে হবে। না হলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

    কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার বাঁকুড়ায় তিন লক্ষ ৪৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। বৃষ্টির ঘাটতি থাকায় প্রথমদিকে জলের অভাবে বীজতলা তৈরি করতে চাষিদের বেগ পেতে হয়। সেই কারণে চাষে বিলম্ব হয়। এবার দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। গোটা মরশুমে ভালো বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলে উপ কৃষি অধিকর্তা জানিয়েছেন। সেই কারণে জেলায় আমন চাষের এলাকা গতবারের তুলনায় এবার বৃদ্ধি পাবে বলে জেলা কৃষিদপ্তর আশা করছে। এই পরিস্থিতিতে চাষিদের উন্নতমানের ভালো বীজ সরবরাহ করার বিষয়টি কৃষিদপ্তর নিশ্চিত করতে চাইছে।  প্রতীকী চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)