• পীড়িতদের পাশে নেই বিজেপির বড় নেতারা, একটানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে জলমগ্ন গড়বেতা
    বর্তমান | ২৪ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর:   দু’দিনের টানা বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়েছেন গড়বেতা-১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। জল নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কাটেনি এলাকার বাসিন্দাদের। তাই একদিকে যেমন প্রশাসনের আধিকারিকরা ত্রাণ বিলির কাজে নেমে পড়েছেন। অপরদিকে, তৃণমূলের নেতারাও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ত্রাণ বিলি করছেন। কিন্তু দেখা নেই বিজেপির নেতাদের। কারণ, ভোট নেই। তাই বিজেপির জেলাস্তরীয় নেতারা ডুমুরের ফুল। পীড়িত মানুষের পাশে সেভাবে তাঁদের দেখাই মেলেনি। 

    জানা গিয়েছে, এই এলাকা ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলা বিজেপির অধীন। এই সাংগঠনিক জেলার বহু প্রথম সারির নেতা গড়বেতার দিকে যাননি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ভোট এলেই বিজেপি নেতাদের দেখা যায়। বন্যায় খুবই সমস্যায় পড়েছেন বহু গ্রামের মানুষ। খাবার নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির নেতাদের এই বিপদে আমরা পাশে পেলাম না। কিছু স্থানীয় নেতা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু তার সংখ্যা খুবই কম। এদিন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ভোট থাকলে বিজেপি নেতাদের দেখা যেত। ভোট নেই, তাই রাস্তায় কেউ নেই। তবে ভোট থাক আর না থাক, তৃণমূল নেতারা সর্বদা ময়দানে আছেন। আমি নিজেও গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছি। বহু কর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। এরফলে উপকার পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

     গড়বেতা-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, মানুষের পাশে থেকে কাজ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই এলাকায় বিজেপিকে দেখাই যায়নি। ওদের সংগঠন বলে আর কিছু নেই।

    উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের পর প্রথমবার এলাকার পর এলাকা ভেসে যেতে দেখল গড়বেতার মানুষ। দু’দিনের বৃষ্টির জেরে গড়বেতা-১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকাতে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। প্রশাসনের উদ্যোগে দ্রুত গ্রামের ভিতরে গড়ে ওঠে রিলিফ ক্যাম্প। সেই ক্যাম্প থেকে খাবার, বিভিন্ন সামগ্রী বিলি করা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, গড়বেতা-১ ব্লকে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে গড়বেতা-২ ব্লকে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দেয়। বিভিন্ন রাস্তা, সেতু ভেঙে যায়। এরফলে একাধিক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

    এদিন গড়বেতা-১ ব্লকের বেনাচাপড়া এলাকার গ্রামবাসী চন্দন মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের তরফে জামা কাপড়, খাবার দেওয়া হয়েছে। জল নেমেছে ঠিকই। কিন্তু বাড়ির সব কিছু ভেসে গেছে। ত্রাণ পেয়ে খুবই উপকার হচ্ছে। প্রশাসনের তরফেও নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছে।

    স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী বলেন, জেলা কমিটির মধ্যে একাধিক গোষ্ঠী। কে যাবেন, তা ঠিক করতেই সময় চলে যাচ্ছে। নিচুতলায় সংগঠন বলে কিছু নেই। এক গোষ্ঠীর নেতা অপর গোষ্ঠীকে পাত্তাই দিচ্ছেন না।

    বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা মিডিয়া কনভেনর প্রশান্ত মজুমদার বলেন, কর্মীরা ময়দানে আছেন। মানুষকে সহযোগিতাও করছেন। তৃণমূল মিথ্যে প্রচার করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)