কোচবিহার রাজ পরিবারের ইতিহাস এবার স্থান পাবে গুজরাতের ‘রয়্যাল মিউজিয়ামে’
বর্তমান | ২৪ জুন ২০২৫
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, কোচবিহার: কোচবিহার রাজ্য এবং রাজ পরিবারের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবার স্থান পাবে গুজরাতের মিউজিয়াম অব রয়্যাল কিংডমস অব ইন্ডিয়ায়। কোচবিহারের বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক ও কোচবিহার আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঋষিকল্প পাল এই কাজের গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন। এখন চলছে তথ্য, লেখা ও ছবি পাঠানোর কাজ।
গুজরাতের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানের অধীনে ১৫ একর জমির উপর বিরাট মিউজিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সেখানে ভারতের বিভিন্ন রাজ শাসিত এলাকাগুলির ইতিহাস তুলে ধরা হবে। তার মধ্যে কোচবিহারও স্থান পাচ্ছে। রাজ আমলে কোচবিহারের শিক্ষাব্যবস্থা, অর্থনীতি ও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, মহারাজা নরনারায়ণ, মহারাজা প্রাণনারায়ণ, মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণ, মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ, মহারাজা জগদীপেন্দ্র নারায়ণের সংক্ষিপ্ত জীবনী, মহারানি সুনীতিদেবী, মহারানি ইন্দিরাদেবীদের জীবনী সংক্রান্ত তথ্য, লেখা ও ছবি সেখানে পাঠানো হচ্ছে।
একই সঙ্গে কোচবিহারের সামগ্রিক ইতিহাস, রাজ্যের রাজ প্রতীক, রাজ্যের শিল্পব্যবস্থা, কৃষিব্যবস্থা, রাজ আমলের লোকসংস্কৃতি সংক্রান্ত নানা তথ্যও সেখানে পাঠানো হচ্ছে। গুজরাত সরকারের ডিরেক্টরেট অব আর্কিওলজি অ্যান্ড মিউজিয়ামের আমন্ত্রণে ঋষিকল্পবাবু সাম্মানিক কাজ হিসেবে এই গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। যা আগামী দিনে ওই মিউজিয়ামের গ্যালারিতে স্থান পাবে। গোটা ভারত তথা বিশ্বের যেকোনও প্রান্তের মানুষ সেখানে গেলে কোচবিহারের রাজ আমলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ঋষিকল্প পাল বলেন, মিউজিয়াম অব রয়্যাল কিংডমস অব ইন্ডিয়াতে কোচবিহার রাজ্য ও রাজ পরিবারের ইতিহাস, ঐতিহ্য বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখা যাবে। এর জন্য তথ্য, লেখা, ছবি ইত্যাদি পাঠানো শুরু করেছি। গুজরাত সরকারের ডিরেক্টরেট অব আর্কিওলজি অ্যান্ড মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে আবেদন আসার পরেই এই কাজ শুরু করেছি। এটি সম্পূর্ণ হলে কোচবিহারের ইতিহাস সেখানে তুলে ধরা সম্ভব হবে। এত বড়মাপের একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা অনেক বড় প্রাপ্তি। কোচবিহার রাজবাড়ি।