নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ঠিকা শ্রমিকের বেশে বিধানগরে ঘাঁটি গেড়েছিল ভিনরাজ্যের ডাকাতরা। এরপর রেকি করে জুয়েলারি দোকানে অপারেশন চালায়। শিলিগুড়িতে সোনার দোকানে ডাকাতির ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার এমন তথ্য পেয়েছে পুলিস। একইসঙ্গে পুলিসের সন্দেহ, আট মাস ধরে এই শহরে যাতায়াত করেছে ওই দুষ্কৃতীরা। তাদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পেতে একাধিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিস। এজন্য তারা ফরেন্সিক ও তথ্যপ্রযুক্তি টিমের সহযোগিতা নিচ্ছে।
ফাঁসিদেওয়া থানার বিধাননগর বাজারে দুই কামরার ঘর ভাড়া নিয়েছিল ওই দুষ্কৃতীরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সেই কাজের ঠিকা শ্রমিকের কাজে তারা যুক্ত, এই বলে দু’সপ্তাহ আগে স্থানীয় এক বিধবা মহিলার কাছ থেকে দু’টি রুম ভাড়া নেয় দুষ্কৃতীরা। ইটের দেওয়াল ও টিনের চাল দেওয়া ঘর। মাসিক ভাড়া সাড়ে তিন হাজার টাকা। প্রথমে চারজন আসে। পরে দু’জন মহিলা সহ আরও চারজন আসে।
বাড়ির মালকিন স্বর্ণলতা ঘোষ বলেন, শ্রমিক পরিচয় দিয়ে ওরা বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। ডাকাতি করে পালাবে কল্পনাও করিনি। পুলিস অফিসাররা জানান, ওই দুষ্কৃতীরা তিনটি বাইক নিয়ে এসেছিল। দু’টি রুমে থাকলেও বাড়িতে রান্না করত না। পাশে হোটেলে খাওয়াদাওয়া করছিল। সকাল থেকে বাইক নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত রেকি করত। এরপর সোনার দোকানে ডাকাতি করে ওরা চম্পট দেয়। সম্ভবত ছ’মাস ধরে ওই দুষ্কৃতীরা এখানে যাতায়াত করেছে। কিছু হোটেলে ওরা পার্টিও করেছে। যার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মিলেছে। সমগ্র বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোনার দোকান ও বিধাননগরের ডেরা থেকে অভিযুক্তদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে ফরেন্সিক টিমের সহযোগিতা নিচ্ছে পুলিস। এছাড়া অভিযুক্তরা ফোনে কোনও এলাকার লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করত, তা জানতে তথ্যপ্রযুক্তি টিমের সহযোগিতা নেবে পুলিস।