• মোবাইল দেখতে না দেওয়ায় মালদার রতুয়ায় আত্মঘাতী ৯ বছরের কিশোর
    আজ তক | ২৪ জুন ২০২৫
  • ফের মোবাইল ফোনের বলি স্কু ছাত্র। বাবা মোবাইল না দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হল ৯ বছরের এক কিশোর। মালদার রতুয়াক ঘটনা। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ খবর পেয়ে শাহ জামালের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    রতুয়া-২ ব্লকের শ্রীপুর শম্ভুপুরে এক বালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শাহ জামাল (৯)। সে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। বাবার কাছে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই মোবাইল দেখতে দেওয়া আবদার করছিল সে। কিন্তু বাবা এতটুকু শিশুকে মোবাইল দিতে রাজি হয়নি। পরে শিশুটিকে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখেন বাড়ির লোকজন।

    এর আগে পরপর একাধিক এমন ঘটনা সামনে এসেছে। উত্তর দিনাজপুরেই কিছুদিন আগে এমন ঘটনা সামনে এসেছে। বাবা মোবাইল না দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হয় জামাল নামে এক কিশোর। বাবার কাছে মোবাইল দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু বাবা মোবাইল দেখতে দেননি। সে জেদ করায় বাবা হালকা বকাবকিও করেন। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পরে জামালের ঝুলন্ত দেহ মেলে।

    অন্য ঘটনাটিতে মোবাইল বাবার কাছ থেকে চেয়েছিল নাবালিকা। কিন্তু বাবা মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। মোবাইল তাকে দেননি। সেই অভিমানে নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন নাবালিকা। এটি হাওড়ার ডোমজুড়ের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহের গড়বাগান এলাকার ঘটনা।

    রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিসরাইল গ্রামে বাবার কাছে মেয়ে আবদার করেছিল দামি অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন। কিন্তু এত অল্প বয়সে মেয়ের হাতে মোবাইল দিতে রাজি হননি বাবা। তাতেই অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল নবম শ্রেণির ছাত্রী মুসকান পারভিন (১৫)। চলতি বছরের শুরুর দিকে এই ঘটনা ঘটে।

     
  • Link to this news (আজ তক)