• প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত, সই জাল করে টাকা তোলার অভিযোগ, কী হচ্ছে মেদিনীপুরের স্কুলে?
    এই সময় | ২৪ জুন ২০২৫
  • আট মাস হয়ে গিয়েছে স্কুলে আসছেন না প্রধান শিক্ষক। গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেও মিড ডে মিল চালু হয়নি। অথচ অভিযোগ, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতির সই জাল করে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। মিড ডে মিলের টাকা, বৃত্তিমূলক শাখা (ভোকেশনাল)-র টাকা থেকে শুরু করে স্কুলের উন্নয়ন তহবিলের সমস্ত টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের খাসবাড় হাইস্কুলে। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে থানায়।

    সোমবার সকাল থেকেই স্কুলের সামনে প্রধান শিক্ষক দেবপ্রসাদ মিদ্যার বিরুদ্ধে লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছয় পুলিশ, প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের নলডিহি এলাকার ওই স্কুলে ছুটে যান কেশপুরের জয়েন্ট বিডিও বৈদ্যনাথ হেমব্রমের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল। অভিভাবকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়।

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিডিও অফিস, ডিআই অফিস তথা শিক্ষা দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও এ বিষয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। এর ফলেই বাধ্য হয়ে তাঁরা এই অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছেন। জয়েন্ট বিডিওর বক্তব্য, ‘উনি (প্রধান শিক্ষক) ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে স্কুলে আসছেন না। ওঁর বিরুদ্ধে স্কুল পরিচালন সমিতির সই জাল করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রথম কয়েক মাস আমরা মিড-ডে মিল চালিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু, গরমের ছুটির পর থেকে মিড-ডে মিল বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা খুব সমস্যার মধ্যে পড়ছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি।’

    অন্যদিকে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি উত্তম পাত্রের বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘এর আগেও দুর্নীতির কারণে ওঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। প্রায় ৫ বছর উনি সাসপেন্ড ছিলেন। আবারও দুর্নীতি শুরু করে দিয়েছেন।’ ব্লক প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ (FIR) দায়ের করা হয়েছে কেশপুর থানায়। পুলিশ তদন্ত করছে।

    যদিও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবপ্রসাদ মিদ্যার প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ফোন করা হলে, তাঁর স্ত্রী সাথী মিদ্যা বলেন, ‘উনি খুব অসুস্থ। সেই জন্যই গত ৬ মাস ধরে মেডিক্যাল লিভ নিয়ে বাড়িতে আছেন। চিকিৎসকেরা ওঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। আজ (সোমবার) ছেলের সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছেন।’ তাঁর অভিযোগ, স্কুলের পরিচালন সমিতির বর্তমান সভাপতি (উত্তম পাত্র) সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনছেন। আসলে স্কুলে এখন দুটি গোষ্ঠী হয়ে গিয়েছে। একটি গোষ্ঠী এইসব করছে।

  • Link to this news (এই সময়)