চাষের জমিতে সেচ দিতে তৈরি হয়েছিল ডিপ টিউবওয়েল। জলস্তর না পাওয়ার জন্যে বেশ কয়েক ফুট গভীর জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখানেই পুঁতে দেওয়া হয় দেহ। পুলিশের দাবি, রবীন তাঁর স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন, সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয় বলে জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছে। হুগলিতে যুবক খুনের ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দেহ।
হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় জানান, চণ্ডীতলার যুবক রবীন রুই দাস (৩৬) নিখোঁজ হন ১৩ মে। গত ২২ জুন রবীন রুইদাসের দাদা বাবলু রুইদাস জাঙ্গিপাড়া থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। রবীন জাঙ্গিপাড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান।
পুলিশ জানায়, রবীনের বাড়ির লোকের সন্দেহ ছিল, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাঁকে মেরে দেহ লোপাট করেছে। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে রবীনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন রবীনের স্ত্রী-সহ চারজনের বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় তাদের ২২ জুন গ্রেপ্তার করা হয়।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি মৃতদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা এবং রবীনের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষাও করা হবে।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী অপর্ণা-সহ শ্বশুর জয়দেব রুইদাস, শ্যালক অভিজিৎ রুইদাস ও এক প্রতিবেশী প্রদীপ পাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে।