• ‘ঘটনাস্থল দেখতে চাই’ অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে আরজি করের নির্যাতিতার বাবা মা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৩ জুন ২০২৫
  • আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। একবছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষোভ, যন্ত্রণা আর বিচার চাওয়ার আর্তি নিয়ে আদালতের দরজায় ফের কড়া নাড়লেন নির্যাতিতার পরিবার। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে তাঁরা আবেদন জানালেন, ঘটনাস্থল একবার নিজের চোখে দেখতে চান। এই মর্মে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁদের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি।


    আবেদনটি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ওঠে। আবেদনে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, নির্যাতিতার বাবা-মা ও তাঁদের আইনজীবী চান, একবার ‘প্লেস অফ অকারেন্স’ -এ গিয়ে নিজেরা দেখে নিতে চান কীভাবে এতটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটল। সেই অনুমতির জন্য জরুরি শুনানির আরজি জানানো হয় আদালতে। অনুমতি মিললে আগামী বৃহস্পতিবারই হতে পারে শুনানি।

    এর আগেও বিচারপতি ঘোষের এজলাসেই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল তদন্তের গতি ও পদ্ধতি নিয়ে। অভিযোগ উঠেছিল, মেয়ের মৃত্যুর প্রকৃত দোষীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি সিবিআই। এমনকি, সিএফএসএল রিপোর্টে একাধিক ডিএনএ নমুনা থাকলেও তদন্তে তা গুরুত্ব পায়নি বলেও দাবি পরিবারের।

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ চত্বর থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে তৎকালীন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। পরে তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। সেই বছরের ১৩ অগস্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আসে। গঠিত হয় ২৫ সদস্যের বিশেষ দল।

    একই বছরে ২০ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের নিরাপত্তা প্রশ্নে গঠন করে ১০ সদস্যের টাস্ক ফোর্স। আরজি কর-কাণ্ড ঘিরে দেশজুড়ে চিকিৎসক মহলে প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, একাধিক জায়গায় হয় প্রতিবাদ। ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর থেকে শিয়ালদা আদালতে শুরু হয় বিচারপর্ব। দীর্ঘ শুনানির পরে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেয় আদালত। তবে পরিবারের দাবি, ন্যায়বিচার এখনও হয়নি। সেই কারণেই ফের একবার তাঁরা সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এখন চাইছেন ঘটনা নিজের চোখে দেখে ন্যায়বিচারের পথে নতুন তথ্য খুঁজে পেতে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)