• আদালত অবমাননা মামলায় বাধ্যতামূলক হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেলেন কুণাল ঘোষ
    প্রতিদিন | ২৩ জুন ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: আদালত অবমাননা মামলায় বাধ্যতামূলক হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আজ, সোমবার হাই কোর্টে তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। এদিন কুণাল ঘোষ সশরীরে আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতের নির্দেশে এদিন তাঁর নামের অন্তর্ভুক্ত নিয়ে হলফনামা পেশ করা হয়। তাঁর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ছিলেন অয়ন চক্রবর্তী, বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য ও রাহুল মিশ্র। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ জুন। সোমবার।

    আদালত অবমাননা মামলায় কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে রুল জারি করেছিল। এদিন থেকেই ওই মামলার শুনানি হয়েছে। আদালতের নির্দেশে কুণাল ঘোষের নামের অন্তর্ভুক্ত নিয়ে হলফনামা পেশ করা হয়। আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর হয়ে তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে সওয়াল করেন। আদালতে কল্যাণ জানান, আদালত অবমাননার রুল জারি করার এক্তিয়ার এই বেঞ্চের নেই। স্বতঃপ্রণোদিত এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার প্রধান বিচারপতির নির্দেশ আমরা হাতে পাইনি। মামলার শুরুতেই বলছি, আমি যদি কোনও ভুল করে থাকি, তাহলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি।” প্রধান বিচারপতি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেটা প্রশাসনিক নির্দেশ। সেখানে তিনি অবমাননার মামলা শুরু করার কোনও প্রক্রিয়ার কথা বলেননি। সওয়াল কল্যাণের। তিনি আরও বলেন, “প্রধান বিচারপতি কোনও রুল জারি করেননি। প্রধান বিচারপতি রুল জারি না করলে এই আদালতের কোনও এক্তিয়ার নেই রুল জারির।”

    হাই কোর্টে তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সওয়ালের পরেই আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, আদালত অবমাননা মামলায় বাধ্যতামূলক হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল কুণাল ঘোষকে। মামলার পরবর্তী শুনানি থেকে আর তাঁকে উপস্থিত থাকতে হবে না। সেক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় ডাকা হবে। এই মামলায় আরও সওয়াল বাকি রয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। উল্লেখ্য, এসএলএসটি শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা প্রার্থীদের আদালত চত্বরে এক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আদালত অবমাননার মামলা হয়।

    এদিন কুণাল বলেন, “আদালত অবমাননার মামলা যেটা বাম-রাম-কংগ্রেসের আইনজীবীদের চেষ্টায় হয়েছিল। রুল জারি হয়েছিল। হাই কোর্টকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কমপ্লাই করেছি। মাননীয় তিন বিচারপতির যে বিশেষ বেঞ্চ, তাঁরা আমাকে সশরীরে হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)