• বিধানসভায় পাশ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ক্রীড়াক্ষেত্রে নয়া পদক্ষেপ রাজ্যের
    প্রতিদিন | ২৩ জুন ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় বিরোধীদের তৈরি করা বিশৃঙ্খলার মধ্যেও পাশ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল। সোমবার অধিবেশন শুরু হতেই বিজেপি বিধায়করা বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। রীতিমতো মার্শাল ডেকে তাঁদের অধিবেশন কক্ষের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। তারপর অধিবেশনে নেতাজি সুভাষ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয় স্পিকারের নির্দেশে। যা ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায়। যার প্রথম ক্যাম্পাস হুগলির চুঁচুড়ায় হবে।

    বাংলার ক্রীড়াক্ষেত্রে নতুন পথ দেখাতে পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়। অত্যাধুনিক ট্রেনিং ব্যবস্থা থেকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা, সব ব্যবস্থাই থাকবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিন এই বিল পেশ হওয়ার আগে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি অভিযোগ তোলেন খেলোয়াড়রা পর্যাপ্ত ভাতা পাচ্ছেন না। জবাবে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আগে ২ শতাংশ চাকরি ছিল। কিন্তু এখন মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগে ফেডারেশনের টুর্নামেন্ট-সহ সব ধরনের খেলায় ভালো ফল করলে বা মেডেল পেলে খেলোয়াড়দের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বিদেশ বসুর মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা এখন সম্মানিত হয়ে বিধানসভায়।”

    তারপর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ‘দ্য নেতাজি সুভাষ ইউনিভার্সিটি অফ স্পোর্টস অ্যান্ড অন্ত্রপ্রনিরশিপ বিল–২০২৫’পেশ করেন। সেসময় বিজেপি অধিবেশন বয়কট করলেও বিরোধীদের মধ্যে নওশাদ ছিলেন। সেই নিয়ে আলোচনার পর ধ্বনি ভোটে বিলটি পাশ হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “সন্তোষ ট্রফিতে যারা পুরস্কার নিয়ে এল, তাদের শুধু চাকরি দেওয়া নয়। ভাতা, স্কলারশিপ দিয়ে সেই খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা খেলাধুলোয় এগিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ তার উন্নয়নের ইনডেক্স।” তাঁর মতে, এটি দেশের প্রথম বেসরকারি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়। 

    নেতাজি সুভাষ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত বা বেসরকারি উদ্যোগে খেলোয়াড় তৈরি করা যায়। সরকার সেটাকে লালন করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগকে উৎসাহ দিয়েছেন, তা আর কেউ করেনি। ৭০-৮০ সালের সময় আমাদের ফুটবলাররা দেশ রাজ্য কাঁপিয়ে রেখেছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবল যে জায়গায় চলে গেছে, আমাদের এখন সেই মাপের খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে খেলোয়াড়দের বিশ্বের ময়দানে ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও উৎসাহ চাই।”

    বিরোধীদের তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, “বিজেপি এই খেলা নিয়ে আলোচনা করবেন না বলে তাদের ক্রীড়া দেখাল মার্শালকে। মার্শালও তাঁর ক্রীড়া দেখালেন বিজেপিকে।” রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় সরকারকেও কটাক্ষ করে ব্রাত্য বসু বলেন, “এর আগে ৩টে বিল রাজভবনের হিমঘরে পড়ে আছে। জানি না, এই বিলটার কী হবে? কারণ কেন্দ্রের সরকার তো চায় না এই দেশের খেলাধুলোর গোলাপ ছড়িয়ে পড়ুক গোটা বিশ্বে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)