‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চমক।’ রবিবার শ্রীরামপুর আরএমএস মাঠে দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এ ভাবেই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজীবও। দল বদলের পর থেকেই রাজীবের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলেছেন কল্যাণ। নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর রাজীব তৃণমূলে ফের যোগদান করলেও কল্যাণ তাঁকে দলে মেনে নিতে পারেননি।
প্রকাশ্যেই গদ্দার বলে কটাক্ষ করেছেন রাজীবকে। এই পরিস্থিতিতে রাজীবের মুখে কল্যাণের প্রশংসা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীবের বিজেপি যোগদানের পর থেকেই দুই জনের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি হতে থাকে। রাজীবের তৃণমূলে ফের যোগদানের পরেও তাঁদের সম্পর্কের কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি। এই আবহে চলতি বছরের মার্চ মাসে আচমকা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিজের বাড়িতে দেখে জড়িয়ে ধরেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ। এরপর থেকেই দুই জনের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হতে থাকে। রোববার নিজের এলাকায় খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে যোগদান করেন কল্যাণ। উপস্থিত ছিলেন রাজীবও। দুর্গাপুজোর চমক নিয়ে আলোচনা করছিলেন কল্যাণ। সেই সময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রশংসা শুরু করেন।
এ দিন রাজীব ও কল্যাণ ছাড়াও খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, সাবদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইন, শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা, রিষড়ার চেয়ারম্যান বিজয়সাগর মিশ্র, প্রবীর ঘোষাল, হুগলি শ্রীরামপুর তৃণমূল মহিলা সভানেত্রী মৌসুমী বসু চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, শ্রীরামপুরের ৫ ও ৬-এর পল্লিগোষ্ঠী ও ব্যবসায়ী সমিতির পুজো এবার ১১২ বছরে পড়ছে। এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত কল্যাণ। পুজোর এবারের থিম কোনারকের সূর্যমন্দির।