হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতি। বিশেষত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন থেকে শুরু করে মনীষীদের অপমান, স্থাপত্যকীর্তি ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেই তালিকায় সদ্য যুক্ত হয়েছে সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত কাছারি বাড়ি ভাঙচুর। বিষয়টি আন্তর্জাতিক হওয়ায় তার যথাযথ তদন্তের দাবিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এসবের মাঝেই এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসছেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লা। আজ অর্থাৎ সোমবার নবান্নে সেই হতে চলেছে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূ্র্ণ হতে চলেছে নিঃসন্দেহে।
প্রসঙ্গত, সুদীর্ঘ ৯ বছর পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন প্রতিবেশী দেশের দূত। এর আগে ২০১৬ সালে তৎকালীন ঢাকার হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপর থেকে আর এই প্রোফাইলের কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়নি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। এবার সোমবার, ২৩ জুন নয়াদিল্লির হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লা আসছেন নবান্নে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। সূত্রের খবর, সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি ভাঙচুর নিয়ে ‘প্রকৃত তথ্য’ তুলে ধরবেন তাঁর কাছে। এছাড়া সীমান্ত সমস্যা নিয়েও কথা হতে পারে উভয়ের। এছাড়াও হামিদুল্লার বঙ্গ সফরে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকার দূতের।
শোনা যাচ্ছে, পরেরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রাতরাশে জহর সরকারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি, দু’জনের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশ হাইকমিশনারের আসন্ন সফরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক রয়েছে কি না, তা এখনও অজানা। তবে নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং হামিদুল্লার বৈঠক এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।