মাইনে ৩৫ হাজার টাকা, জনগণনায় প্রচুর লোক নিচ্ছে কেন্দ্র, আবেদনের যোগ্যতা-প্রক্রিয়া রইল
আজ তক | ২৩ জুন ২০২৫
২০২৬ সালে ভারতে শুরু হতে চলেছে পরবর্তী জনগণনা (Census)। এবার জনগণনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে এবং একাধিক প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে এই বৃহৎ প্রকল্প। নিখুঁত তথ্য সংগ্রহই মূল লক্ষ্য। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এবারে নিয়োগ করতে চলেছে প্রায় ৩৫ লক্ষ কর্মী, যাঁদের মাসিক সাম্মানিক হতে পারে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার:
জনগণনার কাজের জন্য এই প্রথম ব্যবহার করা হবে Geospatial Technology। এর মাধ্যমে দেশের রাজ্য, জেলা, শহর, গ্রাম — প্রতিটি জায়গার নির্ভুল মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ৬ লক্ষ ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে প্রতিটি বাড়ির অবস্থান সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা যায়। জনগণনা কর্মীরা একটি বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করবেন, যার মাধ্যমে প্রতিটি বাড়ি ও বাসিন্দার তথ্য জিও-ট্যাগ করে আপলোড করা হবে।
জনগণনা পর্যায় ও সময়সীমা:
প্রকল্পের প্রথম ধাপ হাউস লিস্টিং অপারেশন শুরু হবে ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে এবং চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই পর্যায়ে প্রতিটি বাড়ির অবস্থা, জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা, ঘরের সংখ্যা ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে, ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য — নাম, বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি, ভাষা, বিবাহের অবস্থা, সন্তান সংখ্যা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা — এসব বিস্তারিতভাবে নথিভুক্ত করা হবে। ১ মার্চ ২০২৭-এ নির্ধারিত হবে দেশের মোট জনসংখ্যার সংখ্যা।
নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ:
এই প্রকল্পের জন্য ৩৪ লক্ষ গণনাকর্মী এবং অতিরিক্ত ১.৩ লক্ষ সহযোগী কর্মী নিয়োগ করা হবে। শীঘ্রই শুরু হবে প্রশিক্ষণ পর্ব। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করেছে প্রায় ৮,৭৫৪ কোটি টাকা।
বেতন ও সাম্মানিক:
গণনাকর্মীরা মাসে পাবেন আনুমানিক ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এটি ‘পার্ট-টাইম সম্মানিক ভিত্তিক’ কাজ হবে, তাই নির্দিষ্ট চাকরির মতো নয়, তবে এই প্রকল্পে কাজের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে।
বিশেষ অঞ্চল:
লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের কিছু তুষারাবৃত অঞ্চলে বিশেষ কারণে হাউস লিস্টিং ও জনগণনা একসঙ্গে হবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
যাঁরা অন্তত উচ্চমাধ্যমিক পাস এবং মোবাইল ব্যবহার করতে সক্ষম, তাঁরা এই কাজে যুক্ত হতে পারবেন বলে সম্ভাবনা। সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, পঞ্চায়েত কর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে।