কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়। তার মাঝেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। সোমবার ভোটগণনার পর বিজয় মিছিল চলাকালীন বোমাবাজির ঘটনায় মৃত্যু হল এক নাবালিকার। ঘটনাটি ঘটেছে বড়চাঁদঘরের মোলান্ডি এলাকায়। এলাকাবাসী এবং বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমাতেই মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের ওই নাবালিকার।
জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার পরিবার সিপিএম সমর্থক। তাঁদের বাড়ির লক্ষ্য করেই বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ার। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস।
ঘটনার পর থেকেই থমথমে মোলান্ডি এলাকা। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়রা আতঙ্কে। নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। নিজের এক্স (টুইটার) হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, 'কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অন্তর্গত বড়চাঁদঘর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। আমি স্তম্ভিত, অত্যন্ত ব্যথিত। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। পুলিশ অবশ্যই এ বিষয়ে দ্রুত কড়া আইনি পদক্ষেপ নেবে। দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব কড়া শাস্তি দিতে হবে।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে-ই এই ঘটনায় জড়িত থাকুক না কেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না।
এদিকে রাজ্য পুলিশও এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, দোষীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বোমা কারা ছুঁড়ল, কোথা থেকে এল, তা জানতে তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশ।
ঘটনার উপর নজর রেখেছে নির্বাচন কমিশনও। কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। উপনির্বাচনের পর এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন।
সব মিলিয়ে বিজয়ের আনন্দের মুহূর্তেই পরিণত হয়েছে শোকস্তব্ধ পরিবেশে। শুধুমাত্র রাজনীতির রেষারেষিতেই কি প্রাণ গেল নাবালিকার? প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। আপাতত পুলিশি তদন্তে কী উঠে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।