• উত্তরবঙ্গের ফুটহিলসে এখানে ঘুরতে গেলেই পর্যটকদের জন্য থাকছে উপহার
    আজ তক | ২৩ জুন ২০২৫
  • Lava Kalimpong Tourism Gift: উত্তরবঙ্গের পাহাড় আর ডুয়ার্সের ঠিঝখানে এই দুর্দান্ত লোকেশন যা ঠিক পাহাড় নয়, আবার সমতলও নয়। এই জায়গায় ঘুরতে গেলেই মিলবে নিশ্চিত গিফট। পর্যটক আকর্ষণের জন্য এই অভিনব  উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে। এতে একদিকে যেমন পর্যটকরা খুশি হবেন, পাশাপাশি স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মানোন্নয়ন করা সম্ভব হবে।

    কালিম্পং জেলার দুর্ধর্ষ স্পট লাভায় এই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এখানে গেলেই আপনি পাবেন একটি অভিনব উপহার। স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের নিজস্ব বাড়ি কিংবা জমিতে তৈরি করছেন একশো শতাংশ জৈব পণ্য। উৎপাদন থেকে শুরু করে প্যাকেজিং ও বিপণনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁরাই। আর এই সমস্ত পণ্য পর্যটক ও সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে একেবারে ন্যায্যমূল্যে।

    ঠিক কী কী থাকছে উপহার’-এ?
    স্থানীয় মহিলাদের উৎপাদিত হলুদ, মধু, ছাতু, গোলমরিচ, বাজরা, করলার চিপস প্রভৃতি নানা খাদ্যসামগ্রী।  সেই সঙ্গে বাঁশ ও বেতের তৈরি হস্তশিল্পও যুক্ত করা হচ্ছে তালিকায়। এই উদ্যোগের জন্য কালিম্পং জেলার ব্লক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে একটি আধুনিক প্যাকেজিং ইউনিট। গোটা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে লাভাতেই এই রকম একটি উদ্যোগ প্রথম।

    বিডিও ভারতী চিকবড়াইক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এখানকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদনে যুক্ত থাকেন। তাঁদের সেই কাজকে আরও সুনিয়ন্ত্রিত করে প্যাকেজিং, ব্র্যান্ডিং ও বিপণনের সুবিধা করে দেওয়াই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এর ফলে যেমন আয় বাড়বে, তেমনই পর্যটকদের হাতে লাভার নিজস্ব স্বাদের পণ্য তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।”

    কোথায় থাকবে আউটলেট?
    প্যাকেটজাত পণ্যগুলি বিক্রির জন্য পাঠানো হবে লাভার সৃষ্টিশ্রী স্টল, স্থানীয় হাটবাজার, সরকারি আউটলেট, মেলা এবং গোর্খে হাটের মতো স্থানে। স্থানীয় নেপালি ভাষায় এই পণ্যের ব্র্যান্ড নাম রাখা হয়েছে ‘কোসেলি’, যার বাংলা অর্থ ‘উপহার’। লাভার মোনাস্ট্রি, নকদারা-সহ অন্যান্য জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রেও এই পণ্যগুলি সহজলভ্য হবে। লাভায় প্রবেশের প্রতিটি গেটপয়েন্টে থাকবে একটি করে স্টল। পাশাপাশি চলতি মাস থেকেই বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে অনলাইনে এই পণ্য বিক্রির ব্যবস্থাও হচ্ছে। 

    লাভা ব্লক প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এখানে রয়েছে মোট ৭৩৩টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী, যার আওতায় কাজ করছেন ৬,০৮৭ জন মহিলা। গ্রাম পঞ্চায়েতভিত্তিক রয়েছে ৭টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী সংঘ। সম্প্রতি এই প্যাকেজিং ইউনিটের উদ্বোধন হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন কালিম্পং জেলা শাসক বালাসুব্রহ্মণিয়ণ টি., পশ্চিমবঙ্গ স্টেট রুরাল লাইভলিহুড মিশনের নির্দেশক কুহুক ভূষণ এবং জিটিএ-র পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের প্রকল্প নির্দেশক সুমেধা প্রধান প্রমুখ।


     
  • Link to this news (আজ তক)