কালীগঞ্জ থানা এলাকার বড়চাঁদঘরের মোলান্দিতে বোমার আঘাতে এক নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম তামান্না খাতুন (১৩)। এলাকার একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। সোমবার কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ভোটগণনা ছিল। বিপুল ভোটে জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী। বিরোধীদের অভিযোগ, উপনির্বাচনে জয়ের পরে বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূল সমর্থকরা ওই নাবালিকার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। সে সময়ে মায়ের সঙ্গে স্নান করতে যাচ্ছিল সে। বোমার আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার। তার পরিবারের লোক সিপিএম সমর্থক ছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল। ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। নাবালিকার মা গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে এই ঘটনায় প্রেক্ষিতে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কালীগঞ্জ থানা এলাকায় বিস্ফোরণে জখম হয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।' নাবালিকার পরিবারের পাশে থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডল পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার বড়চাঁদঘরে বিস্ফোরণে এক কিশোরীর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত এবং গভীর ভাবে শোকাহত। এই শোকের সময়ে তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছি। পুলিশ দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক আইনি পদক্ষেপ করবে।’
নাবালিকার মা সাবিনা ইয়াসমিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কারা বোমা ছুড়েছে আমি দেখেছি। আমরা সিপিএম করি। ওদের নাম না জানলেও সকলের মুখ চেনা, সবাই তৃণমূল করে।’
এ দিকে তৃণমূলকে দুষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকেই ছোড়া বোমাতেই এই বিস্ফোরণ বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কে বা কারা দোষী? তাদের খুঁজে বার করে প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সূত্রের খবর এমনটাই।