• ইরানে আটকে নদিয়ার তিন যুবক
    আনন্দবাজার | ২৩ জুন ২০২৫
  • ইজ়রায়েল-ইরানের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে মার্কিন বোমা হামলার কথা জানিয়েছেন। পাল্টা ইজ়রায়েলে প্রত্যাঘাত করেছে ইরানও। এমন যুদ্ধের আবহে ইরানে আটকে রয়েছেন নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা দুই ভাই। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন আরও এক প্রতিবেশী যুবক। গত দু’দিন ধরে তাঁদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁদের পরিবার লোকেরা। রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দিন-রাত কাটছে। তবে ইরানের ঠিক কোন জায়গায় তাঁরা রয়েছেন, তা বাড়ির লোকেরা জানাতে পারেননি।

    জানা গিয়েছে, দেশে ফেরার জন্য বিমানের টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। কিন্তু যুদ্ধের আবহে আটকে গিয়েছে বাড়ি ফেরা। ফলে, ইরানে আটকে যেতে হয়েছে দুই যুবককে। শান্তিপুরের গোপালপুর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা দুই ভাই আশরাফুল শেখ এবং আফিরুল শেখ। তাঁদের সঙ্গে ইরানে আটকে রয়েছেন একই পাড়ার বাসিন্দা সাবির আলি শেখ। শান্তিপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর মেলের স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল এবং আফিরুল। তাঁরা দু’জনে বছর দুয়েক আগে ইরানে গিয়েছিলেন কর্মসূত্রে। সেখানে একটি সোনার দোকানে তাঁরা কাজ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। দু’জনেরই বাড়িতে স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে।

    জানা গিয়েছে, ইরানে যাওয়ার পরেও পরিবারের সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে ফোনে। সম্প্রতি তাঁদের শান্তিপুরের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। সেই মতো বিমানের টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বাড়ি ফেরা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরেও বাড়ির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করছিলেন মাঝে-মধ্যে। কিন্তু দিনদুয়েক ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

    এ দিকে, শান্তিপুরের বাড়িতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে গোটা পরিবার। দুই ভাইয়ের দাদা আমিরুল শেখ বলেন, ‘‘ওদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল এর মধ্যে। বিমানেরটিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় আর ফিরতে পারেনি। প্রতি দিনই ইরানে যুদ্ধের খবর দেখছি। ঠিকমতো যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটাচ্ছি। ওদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’’

    ওই এলাকারই বাসিন্দা তথা দুই ভাইয়ের প্রতিবেশী সাবের আলি শেখও ইরানে গিয়েছেন বছর কয়েক আগে। বাড়িতে আছেন স্ত্রী এবং ১৩ বছরের ছেলে। প্রতি দিনই টেলিভিশনে যুদ্ধের খবরে চোখ রাখছেন পরিজনেরা। বাড়ছে দুশ্চিন্তাও। এই মুহূর্তে সাবেরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তাঁরা। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে অবশ্য পরিবারের কেউ এখনওযোগাযোগ করেননি।

    রবিবার শান্তিপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, যাতে ওঁদের নিরাপদে ফেরানো যায়।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)