সুমন করাতি, হুগলি: সমবায় নির্বাচনে ফের সবুজ ঝড়। বিরোধীদের পর্যুদস্ত করে হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকে তিনটি সমবায় দখল তৃণমূলের। বেলুন ধামাসিন,জামগ্রাম মণ্ডলাই ও জায়ের দ্বারবাসিনী এই তিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বেরুই সমবায়,পাইকারা সমবায় ও কামতাই সমবায়ের নির্বাচনে জয়ে হাসি হাসল রাজ্যের শাসকদল। আর তারপরই অকাল হোলিতে মাতেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।
পাণ্ডুয়ার বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বেরুই সমবায়ে মোট আসন ১২টি। সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। সিপিএম ১২ এবং বিজেপি ১১টি আসনে প্রার্থী দেয়। সঙ্গে ছিলেন একজন নির্দল প্রার্থী। মোট ৫৪৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। মোট ভোটার ৭৮৪ জন। সবকটি আসনে জয়ী তৃণমূল। আবার জামগ্রা মণ্ডলাইন গ্রাম পঞ্চায়েতের পাইকারা সমবায়ে মোট আসন ১২টি। ভোটার ছিলেন ৩০৬ জন। ২৯০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চলে ভোটাভুটি। প্রত্যেকটি আসনে নিরঙ্কুশ জয় পায় ঘাসফুল শিবির। জায়ের দ্বারবাসিনী গ্রাম পঞ্চায়েতের কামতাই সমবায় সমিতির ভোটেও মোট আসন ১২টি। মোট ভোটার ছিল ৪০৭ জন। ২৮০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছিল। এই সমবায় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ১১টি আসন দখল করে তৃণমূল। একটিমাত্র আসন পায় সিপিএম। তবে আসন সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলই সমবায় বোর্ড গঠন করে।
বিপুল জয়ে খুশি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। অকাল হোলিতে মেতে ওঠেন তাঁরা। পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি শুভঙ্কর নন্দী বলেন, “এই জয় সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের জয়। আগামী দিনের কৃষকদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে মা-মাটি-মানুষের এই জয়।” হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সাধারণ মানুষের কাজ করেছেন, কৃষকদের কথা চিন্তা করেছেন, তারই ফল এই জয়। আগামী দিনেও সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে থাকবে বলে আশা রাখছি।” অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমবায় ভোটে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।