এই সময়: জনতার বিপুল সমর্থন নিয়ে ২০২৪–এ ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে তৃতীয় বার সাংসদ হয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তৃতীয় বার সাংসদ হওয়ার পরে গত এক বছরে এবং সার্বিক ভাবে গত ১১ বছরে ডায়মন্ড হারবারে কী কী উন্নয়নের কাজ হয়েছে, তার বিশদ খতিয়ান আগামী ২৫ জুন জনতার সামনে তুলে ধরবেন অভিষেক।
ওই দিন সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের শ্রীকৃষ্ণপুর বোরহানপুর স্কুল ময়দানে জনসভা করে উন্নয়নের এই খতিয়ান তুলে ধরবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক সাংসদ হওয়ার পর থেকে নিয়ম করে বছর বছর এই উন্নয়নের খতিয়ান প্রকাশ করেছেন। যার আনুষ্ঠানিক নাম ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’।
তৃতীয়বার সাংসদ হওয়ার পরে অভিষেক ডায়মন্ড হারবার লোকসভার সাতটি বিধানসভায় টানা দু’দফায় ‘সেবাশ্রয়’ স্বাস্থ্য শিবির করেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ এসেছেন সেই শিবিরে।
আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘সেবাশ্রয়’ সমাপ্ত হওয়ার পরেও অভিষেক জনতার দুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। অতীতে কোনও সাংসদ তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে এই ভাবে হেলথ ক্যাম্প করেননি বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের।
অভিষেক ২০১৪ সালে প্রথম সাংসদ হন। ২০১৪ থেকে ২০২৪–এর মধ্যে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকায় তিনি পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি উন্নয়নের কাজ করেছেন।
অভিষেকের ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ এখন শুধু রাজ্যে নয়, গোটা দেশেই চর্চিত। সাংসদ হিসেবে অভিষেক নিজের লোকসভা কেন্দ্রে যে ভাবে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন, তা এখন অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন ভিন রাজ্যের সাংসদরাও।
প্রতি বছরই অভিষেক নিজের লোকসভা কেন্দ্রে উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করেন। গত বছর উন্নয়নের খতিয়ান পেশ করার সময়ে অভিষেক জানিয়েছিলেন, আগামী দশ বছরে ডায়মন্ড হারবারের জন্য বড় টার্গেট রয়েছে তাঁর।
এলাকার সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি এক বছর আগেই দাবি করেছিলেন, আগামী দশ বছরে ডায়মন্ড হারবারে দশ হাজার কোটি টাকার বেশি কাজ হবে।
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল নেতাদের ব্যাখ্যা, অভিষেক সাংসদ হওয়ার পরে তাঁদের এলাকায় যা উন্নয়ন হয়েছে, তা অতীতে কখনও হয়নি। সে কারণেই বিজেপি নেতারা ডায়মন্ড হারবারের রাজনীতির জলঘোলা করতে এলে মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মহেশতলায় গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
কিছুদিন আগে ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বজবজে একই অভিজ্ঞতা হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনিও পড়েছিলেন স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে।