এই সময়, আসানসোল: গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন উপলক্ষে আসানসোলে মিছিল এবং সভা করেছিল বিজেপি। তার পাল্টা জবাব এল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। রবিবার আসানসোলের আশ্রম মোড় থেকে কয়েক হাজার কর্মী–সমর্থকের একটি মিছিল জিটি রোড ধরে শেষ হয় গির্জা মোড়ে।
মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং প্রদীপ মজুমদার। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তা দেন দুই মন্ত্রী।
শুক্রবার বিজেপির মিছিল এবং সভায় অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন সেখানেই পাল্টা জনসভা করে বার্তা দিয়েছে শাসকদল।
দলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপি যেখানে মিছিল এবং সভা করেছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেখানেই দ্বিগুণ কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে মিছিল এবং সভা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশই পালন করা হয়েছে।’
সম্প্রতি দলের একাংশের বিরুদ্ধে নাম না–করে সমাজমাধ্যমে সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন। প্রকাশ্যে কারও নাম না–করলেও তাঁর লক্ষ্য ছিল জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, দলের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
রবিবার কিন্তু দেখা গিয়েছে অন্য ছবি। হাতে হাত মিলিয়ে হেঁটেছেন শিবদাসন এবং নরেন্দ্রনাথ। প্রতিবাদ সভার মঞ্চেও তাঁদের একসঙ্গেই দেখা গিয়েছে।
মন্ত্রী মলয় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলকে বিপুল ব্যবধানে জেতানোর অঙ্গীকার করেন। নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি না–করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি।
নরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘তৃণমূলের জেলা কমিটি আগেই তৈরি করা হয়েছে। শনিবার জেলার যুব ও মহিলা সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ বার ব্লকগুলিতেও সেই প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে। হাতে আর মাত্র কয়েক মাস সময় রয়েছে।
এরই মধ্যে ঘর গুছিয়ে নেমে পড়তে হবে। তৃণমূলকে জেলায় ন’টি বিধানসভা আসনই দখল করতে হবে। দলীয় প্রার্থীকে জেতানোই আমাদের পাখির চোখ।’