• বিকাশভবন থেকে SSC ভবন, আন্দোলন করেও লাভ হল না! পাইপলাইনের কাজ করছেন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী
    News18 বাংলা | ২৩ জুন ২০২৫
  • নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার৷ কোনও রকমে চলত সংসার। দিন আনা দিন খাওয়ার মাঝেই চলত পড়াশোনা। ২০১৬ সালের গ্রুপ ডি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল মালদার তাপস কুমার বাগচী। ৩ এপ্রিল চাকরি হারিয়েছেন তিনি। ১৭ এপ্রিল সুপ্রিম রায়ে হারিয়ে গিয়েছে শেষ আশাটুকুও। গ্রুপ সি ও ডি তে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি। সেই কারণে কোনও ভাবেই ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেতে পারলেও শিক্ষাকর্মীরা কেউই চাকরি করতে পারবেন না।

    শিক্ষাকর্মীদের একধিকবার এমএ ফাইল খারিজ হয়েছে কোর্টে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যােপাধ্যায় শিক্ষাকর্মীদের ভাতা ঘোষণা করা হলেও সেই ভাতা তাঁরা পাবেন না কারণ হাইকোর্টের এমনই রায়। ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ভাতা সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না রাজ্য সরকার। বিকাশ ভবন থেকে এসএসসি ভবন। আন্দোলনের সময় কলকাতায় এসে থেকেছেন তাপস কুমাট বাগচী। আন্দোলনরত দিন কেটেছে রাস্তায়।

    বাড়িতে ৭৮ বছর বয়সী বাবা, ৬২ বছর বয়সের মা। স্ত্রী ও সাড়ে তিন বছরের কন্যাসন্তান। পরিবারের রোজগারের ভরসা একমাত্র তাপস নিজেই৷ অগত্যা আন্দোলন ছেড়ে ফিরতে হয়েছি বাড়ি। কতদিন বসে থাকবেন? কতদিন আন্দোলন?কতদিনই বা আদালতের রায়ে অনিশ্চয়তাই কাটবে দিন? পেট তো চালাতে হবে৷ স্কুলে না ফিরতে পারলেও সংসার তো চালাতে হবে। অগত্যা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জলের পাইপ লাইনের কাজ বেছে নিয়েছেন তাপস কুমার বাগচী।

    প্রথম থেকেই মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা (গ্রুপ ডি দের জন্য রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো) নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন শিক্ষার্কমীরা। তারা চান যোগ্যরা ফিরে যাক স্কুলে। শিক্ষক-শিক্ষিকার মতো শিক্ষাকর্মীদেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে একটি চালানোর জন্য। তবে ভাতা স্থগিত হয়ে যাওয়ার আরও ভেঙে পড়েছেন শিক্ষাকর্মীরা। নতুন বিজ্ঞপ্তি শিক্ষার্কমীদের জন্য বেরয়নি। বেরলে পরে ‘ভাতা পাওয়া গেলে ভাল কারণ ভাতা পেলে সংসার কীভাবে চলবে ভাবতে হত না। কোনও রকমে চলে যেত। আর দিনের বেশির ভাগ সময় নিজেকে ফের যোগ্য প্রমাণ করার জন্য পড়ার সময় পাওয়া যেত’। এমনই বলছেন চাকরিহারা গ্রুপ ডি শিক্ষার্কমী তাপস কুমার বাগচী।
  • Link to this news (News18 বাংলা)