পথকুকুরদের নির্বীজকরণ ও জলাতঙ্কের টিকাদান শুরু, দিশা দেখাচ্ছে দক্ষিণ দমদম
বর্তমান | ২৩ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: দুপুরে বা রাতে, গলি এবং মূল রাস্তায় পথকুকুরের তাড়া খায়নি এমন মানুষ উত্তর শহরতলিতে খুঁজে পাওয়া ভার। অনেকে কুকুরের কামড়ে জখমও হয়েছেন। সারমেয়দের দাপট বাড়ায় মাথায় হাত একাধিক পুরসভার।
শহরবাসীরা কুকুরদের নির্বীজকরণের দাবি তুলেই চলেছে। কিন্তু এখনও অনেক পুরসভা এ কাজে সক্রিয়তা দেখায়নি। ফলে সমস্যা বাড়ছে। তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এর ব্যতিক্রম। চলতি বাজেটে এ খাতে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে তারা। অপারেশন থিয়েটার তৈরি করে পথ কুকুরদের নির্বীজকরণ ও জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকাকরণের কাজ শুরু করেছে।
২০২৪ সালে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় জন্তুর কামড়ে জখম হয়েছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার ২২২ নাগরিক। এর মধ্যে কুকুরের কামড় খেয়েছিলেন প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ। শহরতলির অন্যান্য পুরসভার ছবিটাও মোটামুটি একরকম। বছর চারেক আগে দক্ষিণ দমদম পুরসভা পথকুকুরের নির্বীজকরণ কর্মসূচি চালাত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তা বন্ধ। ফলে দ্রুত কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। জানা গিয়েছে, পুরসভা থেকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত পশু চিকিৎসকদের সংগঠন ভেটেরিনারিয়ানস কো-অপারেটিভ সোসাইটিকে। মধ্যমগ্রামের বাদু গুস্তিয়া এলাকায় পশুপ্রেমী ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মঞ্জু মণ্ডলের ফাঁকা বাড়িতে নির্বীজকরণের জন্য অপারেশন থিয়েটার তৈরি করে কাজও শুরু হয়।
রাজ্য পশুপালন দপ্তরের প্রাক্তন সহকারি অধিকর্তা ও পুরসভার জলাতঙ্ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক গৌতমপ্রসাদ সরখেল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘৩০ মে থেকে কাজ শুরু হয়েছে। অপারেশনের পর কুকুরগুলিকে সুস্থ করতে দিন দশেক সময় লাগছে। নির্বীজকরণের পাশাপাশি জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকাও দেওয়া হচ্ছে। তারপর সম্পূর্ণ সুস্থ করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’ পুরসভার সিআইসি(স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস বলেন, ‘প্রথম দফায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের ২০টি কুকুরকে নির্বীজকরণের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে শহরের বেশিরভাগ এলাকার কুকুরকে এর আওতায় আনা হবে।’ নিজস্ব চিত্র