টাকা বরাদ্দ হলেও কালভার্ট সংস্কার করেনি রেল, অভিযোগ সেচদপ্তরের
বর্তমান | ২৩ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, বারুইপুর: দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জমা জলের সমস্যায় জর্জরিত বারুইপুর পুরসভার বড় এলাকা। এই জল বেরনোর অন্যতম পথ আদিগঙ্গা। এই আদি গঙ্গাতেই পুর এলাকার জমা জল পাম্প করে ফেলা হয়। কিন্তু রেলের ডায়মন্ডহারবার শাখার দু’টি জায়গা ও লক্ষ্মীকান্তপুর শাখার একটি জায়গায় আদিগঙ্গার উপর কালভার্টের মুখ খুবই ছোট। সেখানে জল প্রবাহ বাধা পাচ্ছে। সমস্যা সমাধানে কালভার্টের মুখ আরও চওড়া করার চিন্তাভাবনা করেছিল সেচদপ্তরের মগরাহাট ড্রেনেজ ডিভিশন। কাজের জন্য সেচদপ্তর থেকে ১০ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা ধার্য করে রেলকে দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ এখনও শুরুই করেনি রেল কর্তৃপক্ষ, অভিযোগ সেচদপ্তরের।
এই প্রসঙ্গে মগরাহাট ড্রেনেজ ডিভিশনের অতিরিক্ত বাস্তুকার বলেন, চলতি বছরের প্রথমেই টাকা দিয়ে দেওয়া হলেও কাজ শুরু করেনি রেল। ওরা ঢিলেমি করছে। এর জন্য আসন্ন বর্ষায় ফের দুর্ভোগে পড়তে হবে পুরসভাকে। যদিও পূর্বরেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ার মিস্টার রঞ্জন বলেন, টেন্ডার হয়ে সেই কাজ শুরু তো হয়েছে। সেচদপ্তর জানে না। পাল্টা সেচদপ্তরের দাবি, রেল কর্তৃপক্ষ ওই কাজ জানুয়ারিতে শুরু করে জুন মাসে শেষ করার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু রেলের সঙ্গে কোনও এজেন্সির ঝামেলার জেরে কাজ পুরোপুরি আটকে আছে।
বারুইপুর পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ড। ফি বছর জল জমার সমস্যায় ভুগতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। এই কালভার্টগুলি সংস্কার হলে পুরসভার ২, ৩, ৪, ১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যা থাকবে না। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, এছাড়াও পুরসভা যদি প্রতি ওয়ার্ডে নর্দমা পরিষ্কার রাখে, তাহলে জল সমস্যা মিটবে। কিন্তু রেলের কালভার্ট সংস্কার বছরের পর বছর পিছিয়ে গেলেও সেইদিকে কারও নজর নেই। কেন রেল কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করছে না, সেটি সেচদপ্তর ও বারুইপুর পুরসভার দেখা উচিত। মানুষ কেন প্রতি বছর জমা জলের দুর্ভোগ পোহাবে।