একুশে জুলাইকে সামনে রেখে মিশন ছাব্বিশের প্রস্তুতি রানাঘাট তৃণমূলের
বর্তমান | ২৩ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোমর বাঁধতে শুরু করেছে তৃণমূল। তবে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের কাছে অঙ্ক খানিক আলাদা। কারণ এই কর্মসূচির প্রস্তুতিকে সামনে রেখেই ছাব্বিশে বিধানসভার শক্তি পরখ করতে চাইছে শাসকদল। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতির লম্বা তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে দলের সমস্ত শাখা সংগঠনের হাতে। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেই অগ্নিপরীক্ষায় নামার আগে এটাই শেষ ২১ জুলাই। ফলে নিজেদের সেই মঞ্চ থেকেই যে আগামীর বার্তা দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে চলছে তার প্রস্তুতি। যদিও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের কাছে এটা আলাদা চ্যালেঞ্জ। গত বিধানসভা নির্বাচনের ‘ক্ষত’ নিরাময় এবং আসন্ন বিধানসভার ফল যুৎসই করার মোক্ষম সুযোগ। কোনওভাবেই সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না জেলা নেতৃত্ব। উল্টে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিকে কাজে লাগিয়েই দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে মরিয়া তারা। তৃণমূল সূত্রের খবর, রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা অর্থাৎ নবদ্বীপ থেকে কল্যাণী পর্যন্ত রয়েছে আড়াই হাজার বুথ। প্রতিটি বুথকেই একটি করে বড় দেওয়াল লেখার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। বাজার অথবা জনবহুল এলাকার জন্য বাড়তি দেওয়াল। ফলে সব মিলিয়ে নিচুতলাকে জেলা নেতৃত্বর কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে মোট ৩ হাজার দেওয়াল লিখনের তালিকা। শুধু তাই নয়, গোটা জেলায় মোট ১০০টি মিছিল এবং ১০০টি জনসভা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মিছিল এবং জনসভায় পর্যাপ্ত ভিড় হতে হবে। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিকে সামনে রেখে দলের সমর্থকদের পাশাপাশি পৌঁছে যেতে হবে আমজনতার কাছেও। ঘাসফুল শিবিরের টার্গেট ‘ফ্লোটিং’ ভোটাররাও।
বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টার বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল ২১ জুলাই। সেই দিনেই পুলিসের গুলির সামনে প্রাণ হারাতে হয়েছিল প্রতিবাদীদের। তাই ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ এমনকী গোটা ভারতের কাছে আলাদা গুরুত্বের। আমরা এই শহিদ দিবসকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ আগামী বছর নির্বাচনের আগে এটাই শেষবার। নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতা পরখ করার চেষ্টা চলছে। তিন হাজারের বেশি দেওয়াল এবং দুই শতাধিক বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গতবারের ফলাফল এবার আমরা বদলে ফেলবই। বুথস্তর থেকেই আমরা সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। যদিও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে নদীয়া দক্ষিণ সংগঠন জেলা বিজেপির মুখপাত্র সোমনাথ কর বলেন, আগেরবার রানাঘাটের মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এবার গোটা রাজ্যের মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে। তৃণমূল বরং সেই প্রস্তুতিই শুরু করুক। নিজস্ব চিত্র