• মেটানো হয়নি হাই মাস্টের বিদ্যুৎ বিল, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল দপ্তর
    বর্তমান | ২৩ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ডোমকল: বিভিন্ন তহবিলের অর্থে হাই মাস্ট লাইট বসিয়েই খালাস। বিদ্যুৎ বিল মেটাতে গড়িমসি পঞ্চায়েতগুলির। হাই মাস্ট লাইটের বিদ্যুৎ বিল মেটায়নি ডোমকল মহকুমার ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত। মহকুমাজুড়ে শুধু হাই মাস্ট লাইটের বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকারও বেশি। একাধিকবার নোটিস দিয়েও বকেয়া না মেটানোয় হাই মাস্ট লাইটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দপ্তর। অন্ধকারে গ্রামের বাসিন্দারা। সরকারি অর্থে বিল দেওয়ার সুযোগ থাকলেও পঞ্চায়েতগুলি বিল পরিশোধ করতে এই গড়িমাসি কেন করছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    প্রসঙ্গত, বিধায়ক, সাংসদ সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের তহবিলের টাকায় বিভিন্ন এলাকার মোড়গুলিতে রাস্তার ধারে হাই মাস্ট লাইট লাগানো হয়ে থাকে। বিধায়ক, সাংসদদের তহবিল থেকে হাই মাস্ট বসানো হলেও তার বিদ্যুৎ বিল মেটানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলিরই। কিন্তু বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রের খবর, ডোমকল মহকুমার ৮টি পঞ্চায়েত হাই মাস্টগুলির বিল মেটায়নি। দপ্তর সূত্রে আরও খবর , হাই মাস্ট লাইটের সবচেয়ে বেশি বিল বকেয়া রয়েছে জলঙ্গি ব্লকের চোঁয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের। চোঁয়াপাড়া পঞ্চায়েতের নামে সংযোগ থাকা হাই মাস্ট লাইটের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা। পঞ্চায়েত প্রধান দিশানি খাতুন বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ফান্ড থেকে ওই বিল দেওয়া হয়। সবকিছু আপডেট করা রয়েছে, টাকা ঢুকলেই আমরা দিয়ে দেব। শুধু ওই পঞ্চায়েতই নয়, সাগরপাড়া ও খয়রামারী উভয় পঞ্চয়েতেরই প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা করে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। এছাড়াও সাহেবনগর পঞ্চায়েতের নামে প্রায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার, কাটাবাড়ি পঞ্চায়েতের নামে প্রায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার, সাদিখাঁরদিয়াড়ের নামে প্রায় ৬১ হাজার টাকা করে হাই মাস্টের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। ইসলামপুর ও রানিনগরের দু'টি পঞ্চায়েত মিলিয়ে আরও প্রায় ৮৬ হাজার টাকার বিল বকেয়া। পঞ্চায়েতগুলিকে ওই বিল মেটানোর জন্য একাধিকবার জানানো হয়েছে। তারপরেও না পরিশোধ করার দপ্তরের তরফে একাধিক হাই মাস্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে দপ্তর। খয়রামারী পঞ্চায়েত প্রধান মিঠুন বিশ্বাস বলেন, আমাদের পঞ্চায়েতের সোলার ইউনিটে তৈরি হওয়া বিদ্যুৎও হাই মাস্টে কাজে লাগে। কাজেই বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে আমরা সেই বিষয়ে বিদ্যুৎ খরচের সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছিলাম তাঁরা তা দিতে পারিনি। তাই আমরা বিল পেমেন্ট করিনি। তবে শীঘ্রই করে দেব। 

    জলঙ্গির সাইদুল শেখ বলেন, বিধায়ক তহবিল থেকে হাই মাস্টগুলি বসানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। যেগুলি বিল দেয়নি, সেগুলো যেমন জ্বলছে না, তেমনি একাধিক হাই মাস্ট নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।

    বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, সরকারি ফান্ডের অর্থে বিদ্যুৎ বিল মেটানো যায়। তারপরেও কয়েকটি পঞ্চায়েত হাই মাস্ট লাইটের বিদ্যুৎ বিল মেটায়নি। আমরা শেষপর্যন্ত বেশ কয়েকটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি।
  • Link to this news (বর্তমান)