• বিজেপির পাল্টা-মিছিলে শক্তি আসানসোলে প্রদর্শন তৃণমূলের
    বর্তমান | ২৩ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: বিধানসভা নির্বাচনের এখনও ঢের বাকি। তার আগেই রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের রাস্তায় হাঁটল বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। দুই দলের নেতাদেরই দাবি, এগুলি ট্রেলার, পিকচার এখনও বাকি। সেই ট্রেলার দেখানোর প্রতিযোগিতায় বিজেপিকে কয়েক গোল দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আসানসোলের জিটি রোডের উপর বিজেপির মিছিলের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল কার্যত মহামিছিলের রূপ নেয়। নেতা, মন্ত্রীদের সঙ্গে হাঁটলেন কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। মিছিলে শক্তি প্রদর্শন করে তৃণমূল নেতারা রাজ্য বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের উপর একের পর এক তোপ দাগলেন। পুজোর আগেই যেন বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গেল আসানসোলে।

    শুক্রবার আসানসোলের আশ্রম মোড় থেকে গির্জা মোড় পর্যন্ত মিছিল করেছিল বিজেপি। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছাড়াও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পল, রাজ্য সম্পাদক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, বিধায়ক অজয় পোদ্দার সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিল শেষে তৃণমূল কংগ্রেস, রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি নেতারা। এমনকী, শিল্পাঞ্চলে সবক’টি আসনে জয়ের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। তৃণমূল বিধায়কদের কত সম্পত্তি, কত ভোটে তাঁরা হারবেন, তাও আক্রমণের সুরে বলেন বিজেপি নেতারা। বিজেপির খোঁচা খেয়ে রবিবার পাল্টা একই রুটে মহামিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানেই দেখা গেল উপচে পড়া মানুষের ভিড়। শুধু কর্মী-সমর্থকদের ভিড় নয়, মিছিলে ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের ছবিও ফুটে ওঠে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা এদিনের কর্মসূচিতে প্র঩ত্যেক বিধায়ককে মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায়। মঞ্চ থেকে নেতারা বার্তা দেন, তাঁদের মধ্যে একতা রয়েছে। একজনের বিরুদ্ধে অন্যজনকে উসকে দিয়ে কোনও কাজ হবে না।

    শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক সভামঞ্চ থেকে বলেন, বিজেপি সভা করল। তারা তো একবারও কেন্দ্রীয় সরকারের বন্ধ কারখানা খোলার কথা বলল না। তাদের সরকার কারখানা বন্ধ করে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের ৬০ হাজার লোকের কাজ কেড়েছে। বিজেপি নেতারা যেখা঩঩নেই যাচ্ছেন, মানুষ তাড়া করছে। তাই ওঁরা আতঙ্কে থেকে অনেক কথা বলছেন। কুৎসা করে কেউ সাফল্য‌ পায়নি। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা, একশো দিনের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করেছে, তা তুলে ধরেন। জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, খুব হিন্দু ভক্ত বলছেন। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের রাস্তা করতে কত মন্দির ভেঙেছেন, হিসেব দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি ঘটা করে দুর্গাপুজো করার জন্য এক লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করেন। জগন্নাথদেবের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন। আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, হিন্দুদের এক হতে বলছেন। আপনারা রাজ্য বিজেপির পাঁচ নেতা এক হয়ে বলুন, বিধানসভা ভোটে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে?

    বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও হরেরাম সিং একযোগে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি ও মেন্টর ভি শিবদাসন দাসু এলাকা উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরেন।
  • Link to this news (বর্তমান)