• ডিভিসির জলে ফুঁসছে নদনদী, খানাকুল পরিদর্শনে ফিরহাদ
    বর্তমান | ২৩ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: বিরোধীদের গুন্ডারাজের জন্য বাঁধের কাজ হচ্ছে না। রবিবার বিকেলে খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে এমনই অভিযোগ করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ খানাকুলের বালিপুর সংলগ্ন রাধানগর এলাকায় আসেন তিনি। সেখানে মুণ্ডেশ্বরীর শাখা নদী হরিণাখালিতে জলস্তর পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। নদীতে থাকা বাঁশের সাঁকো দিয়ে হেঁটে যান। তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান। ফিরহাদ সাহেব এলাকার বাসিন্দা মল্লিকা মৈত্র, রেবা দলুয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা বলেন, বন্যায় আমাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের পাকা ঘরের ব্যবস্থা হয়নি। মন্ত্রীকে জানালাম। দেখি যদি কোনও ব্যবস্থা হয়। এদিন পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী চাঁপাডাঙায় সেচদপ্তরের গেস্টহাউসে এসে বৈঠক করেন। সেখানে ফিরহাদ সাহেব ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়, বেচারাম মান্না, শ্রীকান্ত মাহাত, আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ সহ অন্যান্যরা। পুলিস-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাও বৈঠকে হাজির হন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বৈঠকে বাঁধ তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, পুলিসকে দেখতে হবে অনেক সময় বিরোধীরা বদমায়েশি করছে। উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। কে বালি দেবে, কে মাটি দেবে তারজন্য বিরোধীদের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সরকারের কাজ সরকার করবে। খানাকুল, গোঘাটে যেন গুণ্ডারাজ না থাকে। তিনি আরও বলেন, সেচদপ্তরকে বলা হয়েছে, যে বাঁধগুলি ভেঙে গিয়েছে সেখানে কাজ করতে হবে। বিডিও এবং ওসি মাটি জোগাড়ের কাজে সেচদপ্তরকে সাহায্য করবেন। কাজের তদারকির পাশাপাশি সমন্বয় করবেন আরামবাগের এমপি, বেচারাম মান্নাও দেখবেন। ফিরহাদ সাহেব বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। তারপর আবার বিরোধীরা রাজনীতিও করছে। কিন্তু আমরা রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ডিভিসি বর্ষাকালে জল ছাড়ার ফলে নদীগুলিতে জলস্তর বেড়েছে। তবে আজ, জল কিছুটা কমে যাবে। এখনই সেই ভয়াবহতা নেই। কিন্তু আবার ডিভিসি জল ছেড়ে দিলে বিপদ হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই ব্যাপারে নজরদারি করছেন। 

    উল্লেখ্য, মহকুমার নদীগুলি এখনও ফুঁসছে। রবিবার সকালের ব্যাপক বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয় আরামবাগে। বজ্রাঘাতে আরামবাগের মীরপাড়ায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম মমতা সাঁতরা(৩৫)। বৃষ্টির জেরে আরামবাগ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জল যন্ত্রণায় পড়ে শহরবাসী। পুরসভা বিভিন্ন জায়গায় জল বের করতে নামে। গোঘাটের বালি পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে খালের জল ঢুকে পড়ে। 
  • Link to this news (বর্তমান)