সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: সাঁতুড়ি ব্লকের রামচন্দ্রপুর-কোটালডি পঞ্চায়েতের নেতাজি চক্ষু হাসপাতাল থেকে কৃষ্ণপুর বাজার পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি বেহাল দশায় রয়েছে। ওই এক কিমি রাস্তাজুড়ে বড় বড় গর্ত হয়েছে। সেই সমস্ত গর্তে বৃষ্টির জল জমে থাকছে। সাইকেল, বাইক, অটো, টোটো দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তাটির সংস্কারের দাবি তুলেছেন। রঘুনাথপুরের মহকুমা শাসক বিবেক পঙ্কজ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষ্ণপুর বাজার লাগোয়া মুরাডি স্টেশনে নেমে ভিনজেলার রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা এপথেই চক্ষু হাসপাতালে পৌঁছন। কিন্তু, রাস্তার বেহাল দশার জন্য তাঁরা সমস্যায় পড়েন। এই রাস্তার ধারেই রামচন্দ্রপুর-কোটালডি পঞ্চায়েত কার্যালয়, সাঁতুড়ি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিস রয়েছে। ব্লকের ৪০-৫০টি গ্রামের কয়েকহাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। ছোটবড় একাধিক গাড়ি চলে। কিন্তু, রাস্তাটি সংস্কার করা হচ্ছে না।
একসময় এটি ঝাঁ চকচকে পিচের রাস্তা ছিল। এখন রাস্তার একাংশে পিচ উঠে গিয়েছে। জলপ্রকল্পের জন্য রাস্তার দু’পাশে মাটি খোঁড়া হয়েছিল। সেই মাটি রাস্তায় পড়ে আরও খারাপ অবস্থা হয়েছে। একসময় রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদ থেকে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তবে কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই কাজ হয়নি। অথচ এই এলাকাতেই বাম, বিজেপি, তৃণমূলের অনেক নেতৃত্বের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দা পার্থপ্রতিম ফৌজদার, পাপ্পু শান্তিকারী বলেন, রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাড়াতাড়ি এটি পাকা করার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে সিপিএমের তরফে প্রশাসনকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল বলে ওই দলের জেলা কমিটির সদস্য রাজেশ বাউরি জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই এলাকায় এসেছিলেন। তাঁর নামে রামচন্দ্রপুরে নেতাজি চক্ষু হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। সেখানে বিনামূল্যে পরিষেবা পাওয়া যায়। দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা আসেন। অথচ সেখানে যাওয়ার রাস্তাটিই কয়েকবছর ধরে বেহাল। বিজেপির রঘুনাথপুর বিধানসভার আহ্বায়ক অরূপ আচার্য বলেন, জেলা পরিষদ থেকে টাকা বরাদ্দ হলেও কিছু তৃণমূল নেতার অতিসক্রিয়তায় কাজ হয়নি। ঠিকাদার কাজ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সাঁতুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রামপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, জেলা পরিষদের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের আবেদন জানানো হয়েছে। আমরা চাই, তাড়াতাড়ি রাস্তাটির সংস্কার করা হোক। মুরাডি রেলস্টেশন থেকে রামচন্দ্রপুর নেতাজি চক্ষু হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তার হাল বেহাল। -নিজস্ব চিত্র