শ্লীলতাহানির অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগণার হৃদয়পুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টাকা আদায় করতে গিয়েছিলেন মহিলারা। তখনই তাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতের এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, হৃদয়পুর স্টেশন সংলগ্ন একটি বহুতল আবাসনের নিচে চেম্বার করেছিলেন তরুণ মন্ডল নামের এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। সেখানে চেম্বার করা হলেও চার বছর ধরে তিনি ওই ফ্ল্যাটের জন্য ‘মেনটেন্যান্স-এর টাকা’ বকেয়া রেখেছেন বলে অভিযোগ। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টাকা না দিলেও যাবতীয় সুবিধা ভোগ করতেন ওই চিকিৎসক। একাধিকবার তাঁকে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হলেও তিনি তা দেননি বলেও অভিযোগ। তাদের দাবি, যখনই টাকা চাইতে যাওয়া হয়েছে তখনই নানা রকম হুমকি দিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
রবিবার রাতেও ওই আবাসনের মহিলারা তাঁর চেম্বারে আবাসন রক্ষণাবেক্ষণের টাকা চাইতে যান। তখনই তিনি মহিলাদের ধাক্কা দিয়ে বার করে দেন বলে অভিযোগ। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের দাবিও শুধুমাত্র মহিলা বার করে দেওয়ায় নয়, টাকা দিতেও অস্বীকার করেন সেই চিকিৎসক। এরই পাশাপাশি ওই মহিলাদের দিকে নানান কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গি করার পাপাশি হুমকি দেওয়াও হয়। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগ দেন তাঁর ভাইও। তিনিও নবান্নের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম করে মহিলাদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
এর পরই উত্তেজিত জনতা ওই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আবাসিকরা দাবি করেন, দীর্ঘ দিন ধরেই রক্ষণাবেক্ষণ খরচের টাকা দেওয়ার জন্য সবাই মিলে ওই চিকিৎসককে অনুরোধ করেছন। কিন্তু তিনি কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেননি। এ দিন মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করার পরেই ওই চিকিৎসক এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বারাসাত থানার পুলিশ। ওই আবাসনের বাসিন্দদের বাসিন্দাদের শান্ত করার পাশাপাশি আটক করে নিয়ে আসা হয় তরুণ মন্ডল এবং তাঁর ভাইকে।
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই চিকিৎসক। তাঁর দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে।