• যুবককে হত্যা করে পুঁতে দেওয়া হয় দেহ, অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির লোকজন, হাড়হিম করা ঘটনা হুগলিতে
    এই সময় | ২৩ জুন ২০২৫
  • দেড় মাস ধরে নিখোঁজ থাকার পর রবিবার বিকেলে উদ্ধার এক যুবকের মৃতদেহ। মৃতের নাম রবীন রুইদাস (৩৬)। ঘটনা হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানার রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইপুর এলাকার। ঘটনায় মৃতের স্ত্রী অপর্ণা বিরাজ-সহ শ্বশুর জয়দেব রুইদাস, শ্যালক অভিজিৎ রুইদাস ও এক প্রতিবেশী প্রদীপ পাত্রকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

    পুলিশ সূত্রের খবর, পারিবারিক অশান্তির জেরে রবীনের স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকেন। গত ১১ মে রবীন শ্বশুরবাড়ি যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে আর বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রবীন চণ্ডিতলা থানার মশাট এলাকার বাসিন্দা। জাঙ্গিপাড়ার কানাইপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতেই থাকত। সেই কারণে বিগত কয়েক মাস ধরে শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত করতেন রবীন। সে দিনও শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। ১৩ মে জাঙ্গিপাড়া থানায় তাঁর পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে।

    তদন্ত করতেই খুনের পর দেহ লোপাটের তথ্য উঠে আসে। জাঙ্গীপাড়ার কানাইপুর এলাকার কৃষি জমিতে সেচের জন্য বসানো রয়েছে গভীর নলকূপ। তার পাশে গর্তে দেহ পুঁতে দেওয়া হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে। এর পরেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।

    রবীনের বৌদি শিখা রুইদাস বলেন, ‘রবীনের পরিবারে প্রায়ই অশান্তি হতো। কিন্তু আমরা ওদেরকে বোঝাতাম। রবীন নিখোঁজ হওয়ার পরেই ওর স্ত্রী অপর্ণাকে আমি ফোন করি। কিন্তু সে আমার কথায় কোনও কর্ণপাত করেনি। পরে একজন ফোন করে বলেন, রবীনকে খুন করা হয়েছে।’ রবীনের এক আত্মীয় টুম্পা রুইদাস বলেন, ‘দেওরের স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাই ওদের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হতো। সেই কারণেই ওকে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা চাই দোষীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।’

  • Link to this news (এই সময়)