শনিবার দুপুরে দাসনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ডোমজুড়ের বাসিন্দা অর্থাৎ শিশুটির মা সঙ্গীতা সিং। কিন্তু অপহরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে শিশুটির মায়ের গতিবিধি নিয়েই সন্দেহ হয় পুলিশের। শিশুটির মাকে প্রথমে দাসনগর থানা ও পরে ডোমজুড় থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে রবিবার বিকেলেই শিশুটিকে দক্ষিণেশ্বর থানার সামনে থেকে উদ্ধার করে তদন্তকারীরা। কেউ বা কারা দক্ষিণেশ্বর থানার সামনে রেখে শিশুটিকে চলে যায় বলে অনুমান করে পুলিশ। এরপর শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে সেই আসল তত্ত্ব। জানা যায়, প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজোশ করে শিশুটির মা নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল। এরপর শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর প্রেমিকের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, সঙ্গীতা সিংয়ের শ্বশুরবাড়ি হুগলির রিষড়ায়। কিন্তু তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। ডোমজুড়ে একটি আবাসনের চারতলায় তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে থাকেন সঙ্গীতা। এক জনের বয়স ৮, অপরজনের ১০ বছর। কিন্তু প্রেমিক কৌশিককে নিয়ে কেন এই অপহরণের নাটক? তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েকবছর আগে একটি পকসো মামলায় সাক্ষী হয়েছিল সঙ্গীতা। সেই মামলার জেরে শাস্তি হয়েছিল একজনের। সম্প্রতি জেল থেকে জামিন পায় সেই অভিযুক্ত। এতেই আতঙ্কে ভুগতে থাকে সঙ্গীতা। আর তখনই প্রেমিক কৌশিকের সঙ্গে প্ল্যান করে ছেলেকে অপহরণের মামলায় ওই যুবককে ফাঁসানোর প্ল্যান করে তারা। সেইমতোই অপহরণের গল্প সাজিয়ে দাসনগর থানায় গিয়ে ওই ব্যক্তির নামে এফআইআর করে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।