ওজাহাত খানকে ফের গ্রেফতার, অন্য রাজ্যের পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে চক্রান্ত?
আজ তক | ২৩ জুন ২০২৫
সামাজিক প্রভাবশালী এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ওয়াজাহাত খানকে ফের গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। এবার গার্ডেনরিচ থানার দায়ের করা পৃথক একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই গল্ফ গ্রীন থানার মামলায় ১৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার পর শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে, তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। কিন্তু আদালতে গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ হাজির হয়ে ফের তদন্তের স্বার্থে তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়, যা মঞ্জুর করে আদালত।
বারবার গ্রেফতারের পেছনে কৌশল?
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ কি শুধুমাত্র তদন্তের স্বার্থে, না কি কোনও সুপরিকল্পিত কৌশলের অংশ? বিজেপি নেতা সুরজ সিং প্রথম ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সরাসরি অভিযোগ করেছেন — 'কলকাতা পুলিশ কি তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য রাজ্যের পুলিশ থেকে দূরে রাখছে? বারবার নতুন মামলা করে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রাখার পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি?'
আসাম ও হরিয়ানা পুলিশের আগ্রহ
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওয়াজাহাদ খানের বিরুদ্ধে আসাম এবং হরিয়ানায় পৃথক মামলাও দায়ের হয়েছে। দুই রাজ্যের পুলিশই ইতিমধ্যে একাধিকবার তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে। এমনকি তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে, কিন্তু তাঁকে পলাতক অবস্থায় পাওয়া যায়। এখন কলকাতা পুলিশের তরফে পরপর পৃথক মামলা দায়ের করে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে — এটা কি আসলে আসাম ও হরিয়ানা পুলিশের তদন্তে বাধা দেওয়ার জন্য?
কলকাতা পুলিশের সাফাই
এই সমস্ত অভিযোগের উত্তরে কলকাতা পুলিশ মুখ খুলতে চায়নি। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা শুধু বলেছেন, “আমরা তদন্তের স্বার্থেই ওঁকে হেফাজতে নিয়েছি। গার্ডেনরিচ থানায় জমা পড়া একটি নতুন অভিযোগের ভিত্তিতেই পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। অন্য রাজ্যের পুলিশও আইন মেনে আদালতের মাধ্যমে আবেদন জানাচ্ছে। আদালতই শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন।”
রাজনৈতিক রং?
যদিও পুলিশ বলছে, তারা আইন মেনে চলেছে, কিন্তু বিজেপি মনে করছে এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাবও থাকতে পারে। একাধিক মামলায় ওজাহাত খানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, কলকাতা পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, আসাম ও হরিয়ানা পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে কলকাতার বিভিন্ন থানায় মামলার জটিলতা তৈরি করে তাঁকে রক্ষা করার চেষ্টা হচ্ছে।