• মাত্র সাত বছর বয়সে, জাতীয় স্তরে পরপর দু বছর সোনা রক্তিমের
    আজকাল | ২৩ জুন ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনে সাত ঘন্টা অনুশীলন বাঁধাধরা। তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। মাত্র সাত বছর বয়সে জাতীয় স্তরে ক্যারাটেতে পরপর দু বছর সোনা জিতেছে হুগলির রক্তিম। চলতি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে আয়োজিত হয় জাতীয় ক্যারাটে প্রতিযোগিতা। সেখানে কুমিত বিভাগে সোনা জয় করে চুঁচুড়ার রক্তিম মন্ডল। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ২৮ জন প্রতিযোগি খেলায় অংশগ্রহণ নেয়। তার মধ্যে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে একমাত্র রক্তিম। আর তার এই সাফল্যে খুশি তার পরিবার এবং তার কোচ। ইতিমধ্যেই পাড়ার ক্লাব থেকে তাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

    গত বছর দিল্লিতে ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে ন্যাশনাল প্রতিযোগিতা হয়েছিল , সেখানেও সোনা জিতেছিল সে।হুগলির চুঁচুড়ার ষষ্ঠী তলায় বাসিন্দা রক্তিম মন্ডল। তার বাবা ঝন্টু মার্বেল কন্ট্রাক্টার ও মা মৌমিতা গৃহবধূ। রক্তিমের বাবা যা উপার্জন করে তাই দিয়েই চলে তাদের সংসার। তবে ছেলেকে খেলাধুলায় তারা মা বাবা কোনদিনও বাধা দেয়নি। ছেলেকে বরং উৎসাহ দিয়েছেন। বর্তমানে চুঁচুড়া চকবাজার এ্যাবট শিশু হলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে রক্তিম। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি তার চরম আগ্রহ তার। শুরুতে স্কুলে যাওয়ার পথে স্থানীয় ক্লাবে ক্যারাটে খেলা দেখতো। তখন থেকেই তার খেলার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। চার বছর বয়সে তার মা তাকে স্থানীয় কোচের কাছে ভর্তি করেন। কিন্তু কোভিডের কারণে এক বছর তা বন্ধ ছিল।

    রক্তিমের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন স্থানীয় ক্যারাটে কোচ দিব্যেন্দু দাস এর কাছে তাকে ভর্তি করে‌। সেখানে দু'বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে খুদে খেলোয়ার। প্রতিদিন সকাল বিকাল ৬ থেকে ৭ ঘন্টা নিয়ম করে চলে তার অনুশীলন। রক্তিম এর মা মৌমিতা দাস জানান, ছেলের এই সাফল্যের জন্য পুরো কৃতিত্বই তার কোচের। কারণ তিনি ছেলেকে যেভাবে গাইড করেন তার জন্যই ছেলে আজ এত দূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে। ছেলে যখন খেলছিল তখন তার কিছুটা ভয় লাগছিল ঠিকই, কিন্তু যখন গোল্ড পেল সেই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাও চালিয়ে যায়। স্কুলের শিক্ষাকরাও সাহায্য করেন।

    রক্তিম জানিয়েছে, ক্যারাটে তে সে গত বছরেও গোল্ড পেয়েছে। এ বছরও গোল্ড পেলো। আগামী দিনে আরও ভালো করে খেলতে চায় সে। রক্তিম এর কোচ দিব্যেন্দু দাস বলেন, রক্তিম গোল্ড পেয়েছে। এটা তাঁর কাছে খুব গর্বের। কারণ ও খুব পরিশ্রম করে। ও যেভাবে খেলে তাতে ওকে খুব একটা বেশি শেখাতে হয় না। প্রথমে জেলা তারপর রাজ্য স্তরে খেলা হয়। রাজ্যে যে প্রথম হয় সেই একমাত্র ন্যাশনালে খেলতে পারে। রক্তিম গতবছরও দিল্লিতে কিও তে গোল্ড মেডেল নিয়েছিল। এ বছর মোট পাঁচ রাউন্ড খেলে গোল্ড মেডেল পেয়েছে। আগামী দিনে ও আরও ভালো করবে।
  • Link to this news (আজকাল)