মিল্টন সেন: তপসিয়ায় বসে অনলাইনে অর্ডার, অথচ মোবাইল ডেলিভারি হচ্ছে হুগলির হিন্দমোটরে! একের পর এক এমন অদ্ভুত ঘটনার পর অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল এক যুবক। প্রাথমিক অনুমান, পুরো ঘটনাটি একটি চক্রের কাজ, যার মূল উদ্দেশ্য অনলাইনে প্রতারণা করে মোবাইল হাতানো এবং সেই ফোন বেচে টাকা রোজগার। জানা গিয়েছে, হুগলির হিন্দমোটরের পুরনো পোস্ট অফিস এলাকার বাসিন্দারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লক্ষ্য করছিলেন, প্রায় প্রতিদিনই এক অচেনা যুবক সেখানে এসে একাধিক মোবাইল ফোন সংগ্রহ করছে অনলাইন ডেলিভারি বয়দের কাছ থেকে।
ফোনগুলি তপসিয়ায় অর্ডার করা হলেও ডেলিভারির ঠিকানা হিন্দমোটর। অবশেষে রবিবার দুপুরে স্থানীয়রা যুবককে চেপে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিকভাবে সে নানা অসঙ্গতিপূর্ণ উত্তর দেয়। পরে হালকা ধমকেই ওই যুবক স্বীকার করে, তার নাম মেহবুব আনসারী এবং সে ঝাড়খণ্ডের মধুপুরের বাসিন্দা। তাকে এই কাজের জন্য কলকাতার তপসিয়ার বাসিন্দা ওয়াজিদ নামে এক ব্যক্তি নিযুক্ত করেছে। প্রতিটি মোবাইল ফোন ডেলিভারির বিনিময়ে ৫০০ টাকা করে পারিশ্রমিক পায় সে। তার কাজ শুধুই ফোন সংগ্রহ করা এবং পৌঁছে দেওয়া, বাকিটা সে জানে না।
ঘটনার খবর পৌঁছায় উত্তরপাড়া থানায়। পুলিশ এসে মেহবুবকে আটক করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, এটি একটি সুসংগঠিত প্রতারণা চক্র। চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অনলাইনে দামি ফোন অর্ডার করে এবং সেই ফোন অন্য লোকেশনে পাঠিয়ে তুলে নেয়, যাতে ট্র্যাকিং এড়ানো যায়। পরে সেই ফোনগুলি বিক্রি করে নগদ অর্থ সংগ্রহ করে চক্রটি। স্থানীয়দের দাবি, পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হোক এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সকলকে চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।