দিনে দুপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকে ৬-৭ জন। এর পর কর্মীদের হাত বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দোকানে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ শিলিগুড়ির হিলর্কাট রোড এলাকার একটি সোনার দোকানে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ শহরজুড়ে নাকা চেকিং শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে এ নিয়ে পুলিশের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সোনার দোকানটি হিলকার্ট রোডে সিপিএম জেলা পার্টি অফিসের একেবারে পাশে। দোকানের এক কর্মী জানিয়েছেন, এ দিন দুপুরে ক্রেতা সেজে দুষ্কৃতীদের একটি দল সোনার দোকানে প্রবেশ করে। ওদের মধ্যে দু’জন মহিলাও ছিল। সেই সময়ে দোকানে ১২ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকে গয়না দেখার নাম করে কর্মীদের সকলের হাত বেঁধে দেয়। সেই সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয়ও দেখায়।

দোকানের সেই কর্মীর সংযোজন, দুষ্কৃতীরা তাঁদের সামনেই কয়েক মিনিটের মধ্যে গোটা দোকানে লুটপাট চালায়। যাওয়ার আগে তারা দোকানের বাইরের গেটে তালা আটকে যায় যাতে কর্মীরা কেউ বেরোতে না পারে। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা দোকান থেকে প্রায় কোটি টাকার উপর সোনা ও হিরের গয়না লুট করেছে।

দিন দুপুরে এমন ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এলাকায় আসেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং মেয়র গৌতম দেব।

শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রত্যেককেই ধরা হবে। শুনেছি, এরা সকলেই হিন্দিতে কথা বলছিল। ওরা স্থানীয় বাসিন্দা কি না সেই নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পুলিশ গোটা বিষয়টার তদন্ত করছে।’

শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘এটা আমার বন্ধুর দোকান। আমি খবর পাওয়ার পরেই পুলিশে খবর দিই। আমি শুনেছি দু’জনকে আটক করা হয়েছে। আশা করছি, পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের উদ্ধার করবে।’