ঘাটাল রয়েছে ঘাটালেই! গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি এবং একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে জুনের শুরুতেই জলের তলায় ঘাটালের বিস্তীর্ণ অংশ। কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের পর সম্প্রতি মাস্টার প্ল্যানের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। যদিও ঘাটালবাসীর দুর্গতির শেষ নেই। মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হতে চার-পাঁচ বছর সময় লাগবে, সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে ঘাটালের সাংসদ দেব বললেন, ‘সরকার এবং প্রশাসন আপনাদের পাশে সব সময় আছে।’
শুক্রবার থেকেই ঘাটাল মহকুমার ১০৮টি ওয়ার্ড ও অঞ্চলের পরিস্থিতি বেশ ভয়ঙ্কর। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানান, ঘাটাল ও চন্দ্রকোনার ২টি ব্লক মিলিয়ে প্রায় ৩০টি ত্রাণ শিবির চলছে। আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় হাজার খানেক বাসিন্দা। বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষোভ জমেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সমলাচনা উড়ে আসছে বিরোধীদের তরফেও। সাধারণের ক্ষোভের কথা মেনেও নিয়েছেন দেব। তাঁর কথায়, ‘এই দুর্যোগের সময় সরকার এবং প্রশাসন আপনাদের পাশে সব সময় আছে।’
তবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য মাস্টার প্ল্যানের কাজও সমান তালে এগোচ্ছে সে কথাও এক্স হ্যান্ডলে উল্লেখ করেন তিনি। দেব বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কাজ শুরু হয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে নদীর ড্রেজিং থেকে শুরু করে বাঁধ, ব্রিজ, খাল কাটা, খালের সংস্করণ, কৃত্রিম নদী তৈরি করা, জমি অধিগ্রহণ সবই রয়েছে। যার সময়সীমা কমপক্ষে ৪-৫ বছর।’
উল্লেখ্য, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’-এর কাজ শুরু হলেও বন্যার কারণে বেশ কিছু জায়গায় কাজ আটকে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ‘ড্রোন ভিউ’-এর মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে জেলা প্রশাসন। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে রবিবার বিকেল পর্যন্ত মেদিনীপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা মোকাবিলার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।