দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ঘরের মধ্যে পাওয়া গেল এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর মৃতদেহ। রবিবার সকালে ওই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকায়। মৃতার নাম আরবিনা খাতুন। মৃতার বাপেরবাড়ির লোকেদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর উপর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার চালাচ্ছিল। আরবিনাকে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকে পলাতক মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে খাকুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের জাঙ্গালিয়া এলাকার বাসিন্দা আরবিনা খাতুনের সঙ্গে জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসত গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরুলাপুর এলাকার বাসিন্দা আজিম সর্দারের বিয়ে হয়। আরবিনার বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আজিম ও তার বাড়ির অন্যান্যরা অত্যাচার শুরু করে। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। মাসের পর মাস ধরে এই অত্যাচার চলছিল বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে বাপেরবাড়ি থেকে টাকা শ্বশুরবাড়িতে বহুবার নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরও রেহাই মেলেনি। আরও টাকা নিয়ে আসার জন্য অত্যাচার বাড়ছিল বলে অভিযোগ। মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, টাকা না পেলে মেয়েকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এই অবস্থা চলাকালীন জানা যায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ, তারপরেও শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলছিল বলে অভিযোগ। আজ, রবিবার সকালে শ্বশুরবাড়িতেই ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে বাপেরবাড়ির লোকজন সেখানে যান। খবর দেওয়া হয় জয়নগর থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পলাতক আজিম সর্দার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের খোঁজ চলছে।