এখনও জ্বলছে বারাসতের রং কারাখানা! কোনও প্রাণহানি হয়নি, জানাল প্রশাসন
প্রতিদিন | ২২ জুন ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাসত: রবিবারেও জ্বলছে বারাসতের রং কারখানা। ধোঁয়া বেরচ্ছ দুর্ঘটনাস্থল থেকে। কাজ করছে দমকলের ইঞ্জিন। চলছে পকেট ফায়ার নেভানোর কাজ। রবিরার সকালে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক অনিমা মণ্ডল ও মহকুমা শাসক সোমা দাস। তাঁরা জানিয়েছেন, কোনও মানুষের ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ফাঁকা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হবে।
শনিবার ভরসন্ধ্যায় বারাসতের রং ও ডায়াপার তৈরির গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। সাররাত সেই আগুন জ্বলে। সকালে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ। তবে এই আগুনে এলাকাবাসীর কোনও ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছেন বিধায়ক অনিমা মণ্ডল। তিনি বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে কোনও মানুষের ক্ষতি হয়নি বলে বাঁচোয়া। আমরা তাঁদের সরিয়ে এনেছিলাম। কী করে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “দমকল যেভাবে কাজ করেছে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা সারাক্ষণ এখানে ছিলাম। সাংসদ নিজে ঘটনার তদারকি করেছেন। আশেপাশের এলাকা থেকে ৫০-৬০টি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়েছিল।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, এত বড় কারখানা সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ঠিক ব্যবস্থা নেই। এলাকা ঘণবসতিপূর্ণ। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত। এই বিষয়ে মহকুমাশাসক সোমা দাসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “কোনও মানুষের ক্ষতি হয়নি। আশেপাশের সবাইকে আমরা সরিয়ে আনতে পেরেছিলাম। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণে দুর্ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় বারাসতের বামুনমোড়া এলাকায় রং ও ডায়াপার তৈরির গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সেখান থেকে গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। নিমেষের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। কমপক্ষে ৮ থেকে ১০টি বড় বড় গোডাউন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রবিবার সকালেও আগুন নেভানোর কাজ চলছে।