সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার কৈখালিতে একসঙ্গে দুটি আধুনিক জেটিঘাট তৈরি হচ্ছে। নৈপুকুরিয়া নদীর উপরে মোট ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই দুটি জেটিঘাট তৈরি করা হবে। কাজ শুরু হবে সোমবার থেকে। কুলতলি বিধানসভার বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল রবিবার জেটিঘাটের শিলান্যাস করেন।
সুন্দরবন ভ্রমণের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য কৈখালি। সেখানকার থেকে ফেরি চলাচল করে দেউলবাড়ি ও কাটামারি বাজার পর্যন্ত। এতদিন জেটিঘাটের অভাবে স্থানীয়দের ভোগান্তি চরমে উঠেছিল। বৃষ্টিতে কাদার উপর দিয়েই চলত ঝুঁকির যাতায়াত। তাই স্থানীয়দের দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি ছিল, যাতে ওই এলাকায় কংক্রিটের জেটিঘাট তৈরি করা হয়। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। জেটিঘাট নির্মাণের ফলে উপকৃত হবেন ছাত্রছাত্রী, মৎস্যজীবী এবং পর্যটক-সহ সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি জেটিঘাট তৈরি হলে গ্রামেরও অনেক উন্নতি হবে বলে বিশ্বাস।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটন ব্যবসায়ী শরিয়ত মণ্ডল জানান, নতুন দুটি জেটিঘাট তৈরি হলে নদী পারাপার করতে সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটক সবারই সুবিধা হবে। ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা হালদার জানান, জেটিঘাট না থাকায় পরীক্ষার দিনেও কাদার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হতো, এখন সেই সমস্যার অবসান হবে। স্থানীয় মৎস্যজীবী নিতাই মণ্ডল বলেন, ‘এই জেটিঘাট তৈরি হলে মৎস্যজীবীদের সুবিধা হবে। মাছ ধরে ফিরে এসে আর বিপদে পড়তে হবে না।’
রবিবার রীতিমতো অনুষ্ঠান করে জেটিঘাটের শিলান্যাস করা হয়। এ দিন তিনি এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন কুলতলির বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, কৈখালিতে বাস পরিষেবা চালু করার জন্যপরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে কথা চলছে। তাঁর আশ্বাস, খুব তাড়াতাড়িই কৈখালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাস পরিষেবাও চালু করা হবে। এই দুই নতুন জেটিঘাট সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল উন্নয়নের দিকে এক বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।