১৫ ঘণ্টা পার করে এখনও জ্বলছে বারাসতের আগুন। শনিবার বারাসতের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পীরগাছা এলাকায় একটি কারখানা ও কয়েকটি গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগে। ২০টি দমকল ইঞ্জিন হাজির হয় ঘটনাস্থলে। এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর নেই। কিন্তু রাত গড়িয়ে সকালেও আগুনের ফুলকি দেখা গিয়েছে সেখানে। পকেট ফায়ারই এখন চিন্তার কারণ।
মাঝেমধ্যেই কারখানার ভিতরে মজুত থাকা দাহ্য পদার্থে ছোটখাটো বিস্ফোরণ ঘটছে, যার ফলে আগুনের তীব্রতা বাড়ছে। রবিবার সকালের খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন কাজ করছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বারাসতের একটি কারখানা এবং কয়েকটি গোডাউনে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে বিধ্বংসী আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। সারারাতের চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার জলা জমি বুজিয়ে প্রায় ২৭ বিঘা জমির উপর অবৈধ ভাবে মাটি ফেলে তৈরি করা হয়েছিল এই কারখানা ও গোডাউন। রংয়ের কারখানা-সহ এখানে ছিল ফ্রিজ, এসির গোডাউন। ব্যাপক পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল গোডাউন ও কারখানায়। তা থেকেই আগুন লাগে বলে অনুমান। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তা।
দমকল সূত্রে খবর, রবিবারও ৪ থেকে ৫টি জায়গায় পকেট ফায়ার রয়েছে। যে জায়গাগুলিতে আগুন জ্বলছে, তার উপরে টিন পড়ে থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে দমকলের। যদিও আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেলে জানা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
রবিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি হলে, আগুন নেভাতে বাড়তি সুবিধা মিলতে পারে। তবে ঝোড়ো হাওয়ারও পূর্বাভাসও শুনিয়ে রেখেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ফলে বৃষ্টির সুবিধা যেমন আছে, তেমনই বিপদ বাড়াতে পারে দমকা হাওয়া। দমকল ও পুলিশের তরফে যৌথ ভাবে তদন্ত হবে, কী ভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে। নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।