• এ বারের মোহনবাগান রত্ন টুটু বসু, পরের বছর অঞ্জন মিত্র, ঘোষণা করে দিলেন নতুন সচিব সৃঞ্জয়
    আনন্দবাজার | ২২ জুন ২০২৫
  • কোনও ফুটবলার নয়, এ বছর ‘মোহনবাগান রত্ন’ পাচ্ছেন স্বপনসাধন (টুটু) বসু। পরের বছর এই সম্মান পাবেন আর এক প্রাক্তন সচিব অঞ্জন মিত্র। তাঁকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হবে। শনিবার মোহনবাগান তাঁবুতে নবগঠিত কমিটির কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সভায় দু’টি মোহনবাগান রত্নর প্রাপকের নাম ঘোষণা শেষ কবে হয়েছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না।

    ২০০৭ সালে কর্মকর্তা হিসাবে মোহনবাগান রত্ন পেয়েছিলেন প্রয়াত ধীরেন দে। তার পর থেকে এই পুরস্কার সাধারণত প্রাক্তন ফুটবলারেরাই পেয়ে আসছেন। তবে এই প্রথা এ বার এবং পরের বার বদল হচ্ছে। ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে টুটুকে এই সম্মানে ভূষিত করা হবে।

    ১৯৯১ সালে প্রথম বার মোহনবাগানের সচিব হন টুটু। তার পরের কয়েক বছর মোহনবাগান ক্লাবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেমন বিদেশি ফুটবলার সই করানো, ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ ইত্যাদি কাজ শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালে আরপিএসজি গ্রুপের মালিক সঞ্জীব গোয়েন্‌কার সঙ্গে মোহনবাগানের গাঁটছড়া বাঁধার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন টুটু। ১৯৯১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন টুটু। আবার ২০১৮-২০২০ সচিব হন। ২০২০-২০২৫ সভাপতি ছিলেন।

    একটি বিবৃতিতে টুটু বলেছেন, “আমি নবগঠিত কার্যকরী সমিতিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ‘মোহনবাগান রত্ন’ দেওয়ার জন্য। ১৯৯১ সাল থেকে আমার সাধ্যমতো যত দিন পেরেছি, যতটা পেরেছি, মাতৃসম মোহনবাগান ক্লাবের সেবা করে এসেছি। অগণিত মোহনবাগান সদস্য এবং সমর্থকদের জানাই আমার আকণ্ঠ সবুজ-মেরুন ভালোবাসা। পুনর্জন্ম বলে যদি সত্যিই কিছু থাকে, তা হলে সেই জন্মেও মোহনবাগানের সেবা করতে চাই।”

    অপর দিকে, ১৯৯৫ সালে মোহনবাগান প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন অঞ্জন। পরে সচিব হয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি প্রয়াত হন। সবুজ-মেরুনের বহু উত্থান-পতন চোখের সামনে দেখেছিলেন তিনি। পাশাপাশি টুটুর সঙ্গে বন্ধুত্বও ময়দানে সুবিদিত ছিল।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)