• দুর্গাপুজোয় ভিড়ের আঁচ পেতে থিমের বিষয়ে জানতে নির্দেশ শহরের থানাগুলিকে
    আনন্দবাজার | ২২ জুন ২০২৫
  • দুর্গাপুজোর বাকি আরও প্রায় ১০০ দিন। এর মধ্যেই কোন পুজো কী রকম ভিড় টানতে পারে, তা আঁচ করার জন্য পুজোগুলির থিমের বিষয়ে জানতে থানাগুলিকে নির্দেশ দিলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। ভিড় কী ভাবে সামলানো হবে, আগে থেকেই সেই পরিকল্পনা ছকে রাখতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে। শনিবার আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে মাসিক অপরাধ দমন বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। উল্লেখ্য, মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে সেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা জানিয়ে পুলিশ চিঠি দিয়েছে ওই পুজোর উদ্যোক্তাদের। অভিযোগ, গত বছর ওই পুজোয় ভিড়ের কারণে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল পুলিশের তরফে।

    সূত্রের খবর, পুজো কমিটিগুলি ইতিমধ্যেই থিম ঠিক করে ফেলেছে। কোন পুজোয় কেমন ভিড় হবে, থিম দেখে তা কিছুটা বোঝা যায়। তাই আগে থেকেই থানাগুলিকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, পুজোর ভিড় সামলাতে কলকাতা পুলিশ পারদর্শী। তাই ভিড় সম্পর্কে আগাম আঁচ করা গেলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এমনকি, দর্শনার্থীরা কোন পথে মণ্ডপে প্রবেশ করবেন এবং বেরোবেন, তা-ও থানাগুলিকে দেখে রাখতে বলা হয়েছে।

    অন্য দিকে, আনন্দপুর থানা এলাকার একটি খুনের ঘটনায় দীর্ঘ দিন বাদে দায়ের করা হয়েছিল অভিযোগ। এ দিন নগরপাল সেই বিষয়ে জানতে চান। খুনের ঘটনার ক্ষেত্রে যাতে দ্রুত মামলা রুজু করা হয়, তার জন্য নির্দেশ দেন নগরপাল। এর পাশাপাশি, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দেহের ময়না তদন্তের সময়ে অফিসারদের উপস্থিত থাকতে বলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, আর জি কর-কাণ্ডে কেন দেরিতে মামলা রুজু হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত।

    পুলিশ জানায়, রথযাত্রার সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই স্পর্শকাতর এলাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় কড়া নজরদারি চালাতে থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। কোথাও গন্ডগোল হলে তা আটকাতে বাহিনী যাতে সুরক্ষার সব সামগ্রী নিয়ে সেখানে যায়, তা-ও বলা হয়েছে তাদের। একই সঙ্গে কোনও ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, এমনটা বুঝতে পারলে উচ্চপদস্থ কর্তাদের তা জানানোর জন্য বলা হয়েছে।

    এক পুলিশকর্তা জানান, সম্প্রতি পুলিশকর্মীদের জোর করে টাকা আদায়ের বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিন জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ দিন বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকদের এই বিষয়ে নজরদারির পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, সম্প্রতি বেআইনি বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সেই কাজ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। বেআইনি বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে তা যাতে না হয়, তার জন্য থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)