কুকথা এ বার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে ‘সোনাগাছির যৌনকর্মী’দের তুলনা টেনে বিতর্কে জড়ালেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর তা নিয়েই সুকান্ত-সহ গোটা বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির রাজ্য সভাপতি অবশ্য নিজের বক্তব্যে অনড়।
শুক্রবার ভবানীপুরে গেলে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বাধা দেয় পুলিশ। সেই সময়েই কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে বচসায় ওই মন্তব্য করেন সুকান্ত। তা নিয়েই সরব হয়েছে তৃণমূল। তাদের তোলা অভিযোগে যে ভিডিয়ো দেওয়া হয়েছে, সেখানে সুকান্তকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আপনারা আইনটাকে সোনাগাছির যৌনকর্মীতে পরিণত করেছেন!’ সেই মন্তব্যের সূত্রেই তৃণমূলের একাধিক নেতা বিজেপির সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “বিজেপির রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক। তিনি রাজ্যের আইন সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত অশালীন এবং অসম্মানজনক।”
বীরভূমের দলীয় নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সাম্প্রতিক কুকথা নিয়ে রাজনীতিতে চাপের মধ্যে ছিল তৃণমূল। বিরোধীদের সেই আক্রমণের সামনে এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যকে ঢাল করেছেন শাসক নেতারা। শশীর মন্তব্য, “আপনি ক্ষমা চেয়ে নিন। আপনাকে কে এই অধিকার দিয়েছে?”
সুকান্ত অবশ্য এই সমালোচনার মুখেও অনড়। তিনি বলেন, “আমি ঠিকই বলেছি। এখনও ওই বক্তব্যে অনড় আছি।” তাঁর ব্যাখ্যা, “অনুব্রত মণ্ডল পুলিশের মা-বৌ তুলে গালাগালি করেছে। সেটা ঢাকতে আমার বক্তব্য ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু দু’টি বক্তব্যের কোনও মিল নেই। আমি কোনও ব্যক্তি-পুলিশ কিংবা তাঁর পরিবার নিয়ে কিছু বলিনি। আমি পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে বলেছি।” তাঁর সংযোজন, “সোনাগাছির মহিলাদের তাও সম্মান আছে। নীতি আছে। এই রাজ্যের পুলিশের তা-ও নেই। সাধারণ মানুষের চোখে এই বাহিনী নীতিহীন, আদর্শহীন, সম্মানহীন।” তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “যৌনকর্মীদের লড়াই বোঝেন না বলেই ওই কুৎসিত মন্তব্য করেছেন সুকান্ত।”