• পালাবদলের পরেই পুরভোট, দাবি শুভেন্দুর
    আনন্দবাজার | ২২ জুন ২০২৫
  • ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। এর তিন মাসের মাথায় দুর্গাপুরে ‘স্বচ্ছ’ পুরভোট হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এমন বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    শেষ বার ভোট হয় ২০১৭ সালে। পুরসভার ৪৩টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয় তৃণমূল। সেই ভোটে বিরোধীরা ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল। যদিও তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। পরে পুরসভার দায়িত্ব যায় পাঁচ সদস্যের প্রশাসকমণ্ডলীর হাতে। কেটে গিয়েছে প্রায় দু’বছর ১০ মাস। নির্বাচনের ঘোষণা শোনা যায়নি। বিরোধীরা দ্রুত স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে মাঝে মাঝে আন্দোলন করেন।

    রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, বিরোধীদের আন্দোলনের ঝাঁঝ আগের থেকে কমেছে। নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়েছে বলে বলে বিজেপি করলেও পুরভোটের দাবি নিয়ে তাদের সে ভাবে আন্দোলন করতে দেখা যায় না বলে দাবি। সেই প্রসঙ্গে দুর্গাপুরে শুভেন্দু বলেন, “বিজেপি বরাবর দাবি করে চলেছে। তবে আমরা ভয়মুক্ত পরিবেশে অবাধ নির্বাচন চাই।” বাঁকুড়া ও বীরভূমে তৎকালীন তৃণমূলের হয়ে দায়িত্বে থাকা দুই নেতার নাম করে তিনি বলেন, “আমি তখন তৃণমূলে ছিলাম। ওই দুই নেতার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে কী ভাবে ভোট হয়েছিল, আমি জানি। গাড়ি গাড়ি করে বাঁকুড়া ও বীরভূম থেকে লোক আনা হয়েছিল। সকাল ৭টার মধ্যে সব বুথ দখল করে নেওয়া হয়। ২০২৬ সালে রাজ্যে পরিবর্তন হবে। তিন মাসের মধ্যে দুর্গাপুরে ভোট হবে। সব দল যোগ দেবে। মানুষ নিজের ভোট নিজে দেবে।”

    তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “ব্যক্তিস্বার্থে অনেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। পায়ের তলায় মাটি সরে যাওয়ায় সেই সব নেতারা এখন প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন।” কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর কথায়, “তৃণমূল এবং বিজেপিতে আসা যাওয়া লেগেই থাকে। তাই ওই দুই দলের কে কার বিরুদ্ধে কী বলছেন, তা মানুষের কাছে গুরুত্বহীন। স্বচ্ছ ভোট হলে তৃণমূল জবাব পাবে।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)