শনিবার তখন সকাল ৯টা। জলপাইগুড়ির কোরক হোমের প্রাঙ্গনে ভারতীয় আবাসিকদের সঙ্গে একাসনে বসে যোগাভ্যাস করছে নেপাল, মায়ানমার, বাংলাদেশের আবাসিকেরাও। যোগ দিবসের অনুষ্ঠান হয় সদর প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়েও। বিভিন্ন বেসরকারি যোগকেন্দ্রের তরফেও দিনটি পালন করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও যোগ দিবস পালন করা হয়। দিনটি পালন করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও।
কোরক হেমে ভারতীয়দের পাশাপাশি ভিন্ দেশি আবাসিকেরাও শামিল হয়। মায়ানমার, নেপাল, বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন দেশের ৯৩ জন আবাসিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে শামিল হয়। হোমের সুপার গৌতম দাস বলেন, ‘‘যোগ সর্বজনীন। দেশ-কালের উর্ধে। সবার অংশগ্রহণে সার্থক হল।’’
এ দিন সকালে যোগ দিবসের অনুষ্ঠান ঘটা করে পালন করা হয় সদর প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায়, প্রধান শিক্ষক অরূপ দে-সহ অন্যরা। স্কুলে যোগ শিক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা প্রীতমা সাহা বসাক বলেন, ‘‘প্রতি সপ্তাহেই পড়ুয়াদের যোগ শেখানো হয়।’’
শহরের কলেজপাড়ায় একটি যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তরফে শারীরিক সুস্থতা ও ব্যায়াম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ফের ওই যোগকেন্দ্রে এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়।
এ দিন জেলা কার্যালয়-সহ জেলার বুথ ও ব্লক স্তরে অনুষ্ঠান করে বিজেপি। দলের জেলা মুখপাত্র শ্যাম প্রসাদ বলেন, ‘‘এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। সবাই সুস্থ থাকুক এটাই আমরা চাই।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘আমাদের দলীয় কর্মীরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। আলাদা করে পালন করার প্রশ্ন নেই। আমরা শারীরিক ও মানসিক ভাবে তরতাজা থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়াই।’’ জেলা তৃণমূল চেয়াম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, ‘‘লোকদেখানো নয়, আমরা নিজস্ব ভাবেই দিনটি পালন করেছি।’’ আনন্দ চন্দ্র কলেজের এনসিসির তরফেও দিনটি পালন করা হয়।