• ভরসন্ধ্যায় বিধ্বংসী আগুন বারাসতে, আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন বাসিন্দারা
    বর্তমান | ২২ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: শনিবার ভরসন্ধ্যায় বারাসতের কদম্বগাছিতে পাশাপাশি একাধিক গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লাগে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় গুদামে থাকা যাবতীয় সামগ্রী। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে রাতভর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আগুনের লেলিহান শিখায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের জনবসতি এলাকায়। বিপদ বুঝে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। তীব্র যানজট তৈরি হয় সদাব্যস্ত বারাসত-টাকি রোডে। সেই কারণে দমকলের গাড়ি পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয় বলেও দাবি এলাকাবাসীর। 

    স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত শহর লাগোয়া কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনমোড়া এলাকায় বিশাল চত্বরে রয়েছে একাধিক গোডাউন। রং, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, শিশুদের ন্যাপকিন সহ বিভিন্ন পণ্যের  ৮ থেকে ১০টি বড় গোডাউন রয়েছে ওই চত্বরে। চারদিক ঘেরা রয়েছে কংক্রিটের পাঁচিল দিয়ে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সেখান থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাক খেয়ে উঠতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পরই স্পষ্ট হয় আগুনের লেলিহান শিখা। নিরাপত্তার স্বার্থে তড়িঘড়ি গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছিল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। তাতে আরও আতঙ্ক বাড়তে থাকে মানুষের মধ্যে। ওই চত্বরে ঢুকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে কিছুটা বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। এক দমকল কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যাবেলা কর্মীরা গোডাউনে আসেন হিসেবনিকেশ করতে। এলাকার মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং শুরু করে পুলিস। 

    স্থানীয় বাসিন্দা নিজামুল কবীর, আব্দুল রহিম বলেন, ‘কয়েক বিঘা জমির উপর একাধিক কোম্পানির গোডাউন রয়েছে। পরপর সবক’টি গোডাউন পুড়ে ছাই হয়ে গেল। গোটা এলাকা পোড়া গন্ধে ভরে গিয়েছে। ছাই উড়ে আসছে।’ কী কারণে বা কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাতেই এলাকায় পৌঁছন দমকলের ডিজি রণবীর কুমার, বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া, বারাসতের এসডিপিও আজিঙ্কে বিদ্যাগর আনন্ত প্রমুখ। বিশাল পুলিস বাহিনী ও র‍্যাফ মোতায়েন করা হয় এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। আগুনে অসুস্থ হয়ে পড়া উদ্ধারাকারীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করতে দেখা যায় তাঁকে। দমকলের ডিজি বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে। ভিতরে তেমন কোনও সক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।’
  • Link to this news (বর্তমান)