ডিমডিমা নদীতে সেতু নেই, প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়কের কাজিয়া তুঙ্গে
বর্তমান | ২২ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: মাদারিহাটের জয় বীরপাড়া ও নাংডালা চা বাগানের মাঝে ডিমডিমা নদীর উপর পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। সেই সেতু নিয়ে মাদারিহাটের দু’বারের প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপির মনোজ টিগ্গা ও বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জয়প্রকাশ টোপ্পো পরস্পরের বিরুদ্ধে কটাক্ষের বাণ ছুঁড়ছেন। ডিমডিমাতে সেতু তৈরি হবে কি না তা সময়ই বলবে।
মনোজ টিগ্গা এখন আলিপুরদুয়ারের এমপি। বিধায়ক থাকার সময় তিনি বিধানসভায় নাংডালা ও জয় বীরপাড়া চা বাগানের মাঝে ডিমডিমা নদীতে পাকা সেতুর দাবিতে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন। কিন্তু সেতু হয়নি। এদিকে, কয়েক দিন আগে বিধানসভায় বর্তমান বিধায়ক জয়প্রকাশ টোপ্পোও ওই সেতুর দাবি তোলেন। মনোজবাবুর দাবি, বিধায়ক থাকার সময় তিনি ডিমডিমাতে পাকা সেতুর দাবিতে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধী দলের বিধায়ক হওয়ার কারণে রাজ্য তাঁর দাবিকে পাত্তা দেয়নি। তাঁর কটাক্ষ, কয়েকদিন আগে দেখলাম বিধানসভায় মাদারিহাটের শাসক দলের বিধায়ক ডিমডিমা সেতুর দাবি তুলেছেন। এবার দেখার তাঁর দাবিকে রাজ্য সরকার কতটা গুরুত্ব দেয়। সেতু হলে ভালো। না হলে ছাব্বিশের ভোটে ডিমডিমা সেতুর দাবিকে আমরা ইস্যু করব।
বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ককে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূল বিধায়ক জয়প্রকাশ টোপ্পো বলেন, মনোজ টিগ্গা দু’বারের বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু ১০ বছরে তিনি মাদারিহাটে কোনও উন্নয়ন করেননি। সেজন্যই তো এলাকার মানুষ উপ নির্বাচনে আমাদের দলকে জিতিয়েছে।
জয়প্রকাশবাবু আরও বলেন, আমি বিধায়ক হয়েছি মাত্র সাত মাস হল। আমার এই স্বল্প সময়েই এলাকার চা বাগানগুলিতে রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, পানীয় জল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য ডিমডিমাতে পাকা সেতুর বাস্তবায়ন। নিশ্চয়ই এই দাবিও পূরণ হবে।
ডিমডিমায় পাকা সেতু না থাকায় দশকের পর দশক ধরে ভুগছেন দু’পারের বাসিন্দারা। কালাপানি, গারুচিরা, মাকরাপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে বান্দাপানি, নেপানিয়া, ঢেকলাপাড়া ও নাংডালা চা বাগানের শ্রমিকদের ডিমডিমা নদীর জল ডিঙিয়েই বীরপাড়ায় যাতায়াত করতে হয়। শুখা মরশুমে নদী পার হওয়া গেলেও বর্ষায় হড়পাবানের আশঙ্কা থাকে। তখন বীরপাড়া থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মাদারিহাটের ওইসব এলাকা।