‘অনেককেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সম্ভবত রবিবার সকালেই ইজ়রায়েলে অপারেশন সিন্ধু শুরু হবে। আমিও অপেক্ষা করছি।’ ইজ়রায়েলের তেল আভিভ শহর থেকে শনিবার রাতে জানিয়েছেন অনাবাসী ভারতীয় গবেষক অনিরুদ্ধ বেরা। তিনি সেন্ট্রাল তেল আভিভের একটি আবাসনে থাকেন। শনিবার রাত অবধি সেখানেই আছেন।
অনিরুদ্ধ'র আশা রবিবার সকালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। অপারেশন সিন্ধু-তে দেশে ফেরার জন্য তিনি নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন। শুক্রবার রাতে এই সময় অনলাইনে সেই খবর প্রকাশিত হয়েছে। বছর ২৭-র অনিরুদ্ধ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের ভাউদি গ্রামের বাসিন্দা। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে তিনি তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার বায়োফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করছেন।
অনিরুদ্ধ বাবা-মা'র একমাত্র সন্তান। তাঁর বাবা অসীম বেরা পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মা রাখি বেরা গৃহবধূ। একমাত্র ছেলের বাড়ি ফেরার জন্য তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ইজ়রায়েল-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। চলছে মুর্হূমুহু মিসাইল হানা। ইজ়রায়েলের আক্রমণের জবাবে পিছু হটতে রাজি নয় ইরানও। এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলেও এ বার ভারতীয় নাগরিকদের তথা অনাবাসী পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার জন্য 'অপারেশন সিন্ধু' শুরু করতে চলেছে ভারত সরকার।
ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সকলের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম নথিভুক্ত করেছেন শালবনীর অনিরুদ্ধও। এর আগে ইরানে অপারেশন সিন্ধু সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ভারত সরকার। অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই ইজ়রায়েল থেকেও পড়ুয়াদের তথা সেইসব দেশের নাগরিকদের উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অনিরুদ্ধ সেন্ট্রাল তেল আভিভের একটি আবাসনে ভাড়া থাকেন। গত শুক্রবার (১৩ জুন) থেকেই সেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সারা দিনে ৩-৪ বার করে বাঙ্কারে প্রবেশ করতে হচ্ছে বলে জানান অনিরুদ্ধ। প্রতিমুহূর্তেই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা সঙ্গী। সাইরেন বাজলেই ছুটতে হচ্ছে বাঙ্কারের দিকে। তাই এবার যেন দেশে ফিরলেই শান্তি! এমনটাই মনে করছেন অনিরুদ্ধ। যদিও তিনি জানিয়েছেন, এখনও তাঁর গবেষণা শেষ হতে অন্তত দু'বছর বাকি। তবে, পরিস্থিতি আবার স্থিতিশীল হলেই ছেলেকে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন বাবা-মা।